বিতর্ক থাকলেও বাধা রইল না। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে এবার যথা সময়ে মুক্তি পাবে সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় পরিচালিত ছবি গুমনামি বাবা। আগামী ২ অক্টোবর রাজ্য়ের প্রেক্ষাগৃহে দেখা মিলবে গুমনামির।
গুমনামি বাবা ছবি বিতর্কের মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আগামী ২ অক্টোবর গুমনামি বাবা ছবির মুক্তিতে আর কোনও বাধা নেই। বুধবার তেমনই জানিয়েছে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন গুমনামি বাবা নিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। মামলা খারিজ করার কারণ হিসেবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল, সেই নথি কারও কাছে নেই। তাহলে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সিনেমায় তা বিকৃতভাবে দেখিয়েছেন, এটা বলা যায় কি? সেন্সর বোর্ড গুমনামি ছবিকে ছাড়পত্র দিয়েছে, সেখানে আদালতের কিছু বলার নেই।
গুমনামি ছবি নিয়ে কয়েকদিন আগে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা দেবব্রত রায়। তাঁর আইনজীবী প্রদীপ রায়ের বক্তব্য, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে আজও রহস্য রয়েছে। আদৌ তিনি মারা গেছেন কি না ভারত সরকারও তা ঘোষণা করেনি ৷ অথচ ছবিতে সুভাষচন্দ্র বসুই গুমনামি বাবা বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি যাতে বন্ধ করা হয়, আদালতের কাছে তারই আবেদন জানান তিনি। কিন্তু পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার ওই জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেন।
এদিন মামলা খারিজ করার আগে আদালত জানায়, মামলাকারীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে আগ্রহ থাকতে পারে। তিনি তা নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। তাই বলে তাঁর জনস্বার্থ মামলার দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। সম্প্রতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় অভিনিত সৃজিতের গুমনামি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিতর্কে জল ঢালতে খোদ পথে নামেন পরিচালক। নিজেই ছবির ট্রেলার দেখাতে ফরওয়ার্ড ব্লক-এর অফিসে চলে যান। সেখানে তিনি বলেন,নেতাজির মতো একজন ব্যক্তিত্বকে দুমড়ে মুচড়ে দেখানো হবে, আর সাবাই চুপ থাকবে এটা ভাবা ভুল। তিনি শুধু নেতাজির জীবনের বিষয়ে কিছু আলোচনা করতে চেয়েছেন। এই আলোচনায় সবাই সামিল হতে পারেন।
তবে ফব-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পুরো ছবি দেখেই এ বিষয়ে যা বলার বলবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সৃজিতের গুমনামি বাবা ছবির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক।