গঙ্গাআরতি দেখতে আর ছুটতে হবে না বারণসী। কলকাতার গঙ্গার ঘাটে বসেই মিলবে সেই গঙ্গাদর্শনের সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্য়োগে এমনই ব্য়বস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতার বুকে গঙ্গার পাড়ে গড়ে উঠবে এই স্থান। গঙ্গা দর্শনের জন্য় ইতিমধ্যেই ৩২ একর জমি চিহ্নিত করেছে মোদী সরকার।
বারাণসীতে গঙ্গা আরতি নিয়ে বাঙালির উৎসাহ কম নয়। প্রতি বছর শুধু এই আরতি চাক্ষুষ করতে লক্ষ লক্ষ লোক যান যোগীর রাজ্য়ে। এবার কলকাতার বুকে এই আরতির ব্য়বস্থা করতে গঙ্গা দর্শন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু গঙ্গা আরতি নয়, কলকাতায় গঙ্গার পাড়ে এই প্রকল্পে থাকছে অ্যাকোরিয়াম, ওয়াটার পার্কের ব্য়বস্থা। গঙ্গাতীরের সৌন্দর্যায়নের কথা মাথায় রেখেই এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন এই প্রকল্পের ঘোষণা করে মোদী বলেন, কলকাতা বহির্বিশ্ব ও দেশের ভিতরের শহরগুলির সঙ্গে জলপথে যোগাযোগের এক সঙ্গমস্থল হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্য়েই হলদিয়া থেকে বারাণসী ছোট জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কাশীর সাংসদ। কলকাতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই জুড়ে গিয়েছি। কলকাতা বন্দরের উন্নতির জন্য আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও পরিকল্পনা রয়েছে।
কীভাবে জলপথ সংযোগের মাধ্য়মে উপকৃত হবে রাজ্য় তারও বর্ণনা দেন নমো। মোদী বলেন, এই সব প্রকল্পের মাধ্য়মে রাজ্য়ে পর্যটনের বিকাশ হবে। আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক কলকাতায় আসবেন। যাতে স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার ফলে উপকৃত হবে রাজ্য়বাসী। তবে শুধু গঙ্গাদর্শন প্রকল্পই নয়, রাজ্য়ে এসে হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরে মাল্টিমোডাল টার্মিনাল গড়ে তোলার কথা বলেন মোদী। তিনি জানান, বড় জাহাজ যাতে সহজেই এই দুই বন্দরে ঢুকে পারে তারও ব্যবস্থা করবে জাহাজ মন্ত্রক। ২০২১ সালের মধ্য়ে গঙ্গানদীর নাব্যতা বাড়ানোর উদ্য়োগ নিয়েছে মন্ত্রক।