Subrata Mukherjee Live- কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটে চিরবিদায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে

শেষ সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের অন্তেষ্টি। পঞ্চভূতে বিলীন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী।

কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গ্যান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী।

কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। সেখানেই গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হবে তাঁকে। রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। 

একডালিয়া থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। সেখানে প্রস্তুতি রয়েছে একেবারে তুঙ্গে। শ্মশানে উপস্থিত রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

একডালিয়া ক্লাব থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। তাঁর শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছেন বহু মানুষ। রয়েছেন তৃণমূলের প্রথমসারির নেতারাও।  

বাড়ি থেকে একডালিয়া ক্লাবে পৌছল মন্ত্রীর দেহ। সুব্রতকে শেষবারের জন্য দেখতে রাস্তায় মানুষের ঢল।

বালিগঞ্জের বাড়িতে পৌছল সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের দেহ

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল বিধায়করা। বর্ষীয়ান নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

রবীন্দ্রসদন থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিধানসভায়। তারপর সেখানে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাড়িতে।

সুব্রতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রায়দীঘি থেকে রবীন্দ্র সদন ছুটে এলেন বাম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি

 রবীন্দ্রসদনে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন দিলীপ-নিশীথ-সুজনরা

রবীন্দ্র সদনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব, ছিলেন আব্দুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। 

৫ দশক ধরে সুব্রত-র সঙ্গে জড়িয়ে। প্রিয়দার নেতৃত্বে সুব্রত তখন তরুণ রাজনৈতিক তুর্কী, আমরাও সব প্রিয়দার দলে। বহু সময় নানা মিটিং-এ সুব্রত-র সঙ্গে মতানৈক্য হয়েছে, কিন্তু কোনও দিনই তা অন্য জায়গায় পৌঁছায়নি, বরবারই সম্পর্ক থেকেছে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও সুব্রত সেই সম্পর্ককে ত্যাগ করেনি, এসএসকেএম-এ থাকার সময় কথা হয়েছিল, কথা ছিল ছুটি পেলে ওর একডালিয়ার বাড়িতে আমরা পুরনো বন্ধুরা একদিন আড্ডা মারবো।- প্রদীপ ভট্টাচার্য

রাজনৈতিক পথ এবং আদর্শ ভিন্ন হলেও সম্পক্ত তৈরিতে তা কোনওদিনই বাধা হয়নি, আসলে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এমনই এক মানুষ, সকলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে পারতেন, বাংলার রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি- রাহুল সিনহা। 

বাংলার রাজনীতিকদের অভিভাবক ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধানসভায় বহু গল্প হত, রাজনৈতিক উপদেশ মিলত, তিনি বাংলার রাজনীতিতে একজন মহিরুহ- দিলীপ ঘোষ

সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রসদনে শ্রদ্ধা জানালেন প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য, ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, ওনার বাড়িতে মাঝে মাঝেই আসতাম-গল্প-আড্ডা লেগেই থাকতো, মোহনবাগানে খেলার সময় থেকে সুব্রতদার সঙ্গে সম্পর্ক, ওনি সবসময় আমার পাশে ছিলেন, ভালো থেকে খারাপ দিন- একদিনের জন্য পাশ থেকে সরে যাননি, কষ্ট হচ্ছে, মেনে নিতে পারছি না- সুব্রত ভট্টাচার্য। 

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় শোকস্তব্ধ তিন বোন, নতুন করে পিহারা হলাম, বলছেন বোনেরা. তিন বোন ঘটা করে ভাইফোঁটা দিতেন সুব্রতকে, এবার ভাইফোঁটা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও খাওয়া-দাওয়ার বিষয় বাতিল করা হয়েছিল, সুব্রত শুধু বোন তনিমার কাছে নাড়ু খেতে চেয়েছিলেন, সেটা আর হল না আক্ষেপ বোন তনিমার, দাদা-কে ঘিরেই ছিল জীবনের অনেকটা, দাদা-র শাসন সারাক্ষণ লেগে থাকত, কিন্তু সেই মানুষটা আজ নেই, আমরা থাকবো কী করে- বললেন আর এক বোন বুলবুল। 

রবীন্দ্র সদনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাল ভারত সেবাশ্রমের সদস্যরা

রবীন্দ্র সদন থেকে দুপুরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাড়িতে। 

রাজনৈতিক লড়াই ছিল। কিন্তু কখনই ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরিবাররে প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বললেন অশোক ভট্টাচার্য।

রবীন্দ্র সদনে পৌছল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ । শুক্রবার সকাল ১০টা - ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে তাঁর দেহ শায়িত থাকবে। 

শুক্রবার সকাল ১০টা - ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে তাঁর দেহ শায়িত থাকবে। সেখানেই তাঁর অনুগামী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন। রবীন্দ্র সদন থেকেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাড়িতে।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার  । তিনি বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাজনৈতিক মহীরুহের পতন। মাননীয় সুব্রতবাবুর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় উনি সদস্য হয়েছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন উনি। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। আর তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।"  

  সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। বর্ষীয়ান নেতার মৃত্য়ুর পরই টুইটে এক পোস্টে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দাবি জানিয়ে বলেছেন, '২০২১ বিদানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চুক্তি পছন্দ হয়নি তাঁর।' এখানেই শেষ নয় রূপার সংযোজন, 'পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতি করেছেন। সুবিধাবাদী। আমার কোনও সমবেদনা নেই।' রূপার এই বিস্ফোরক বক্তব্যে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক মহল।'

বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে বহু কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে, অনেক মজার মজার কথা বলতেন, রাজনীতির অনেক কিছু শিক্ষা পাওয়া যেত তাঁর কাছে, মিষ্টি খেতে ভালোবাসতেন সুব্রতদা, অক্লেশে বড় বড় সন্দেশ খেয়ে নিতেন, অনেক কিছু মনে পড়ছে আজ সুব্রতদা-কে ঘিরে- দিলীপ ঘোষ

বঙ্গবাসী কলেজে যখন সুব্রত পড়তেন সেই সময় থেকে ওকে চিনি, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় একদম এক অন্যমাত্রার মানুষ ছিল, রাজনৈতিক সৌজন্যের এক অন্যনাম ছিল সুব্রত। - বিমান বসু

মাননীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠন মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস এর বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি শোকাহত। এই ক্ষতি অপূরণীয়। তাঁর অবদান রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে চির স্মরণীয় থেকে যাবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।-- সোহম চক্রবর্তী

কালীপুজো আলোর পুজো। আর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ মানে একটা বড় অন্ধকার। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তাঁর না থাকাটা একটা বড় ক্ষতি। এই আলোর দিনে এক বড় অন্ধকার নেমে এল। -- দেবাশিস কুমার

বাংলার রাজনীতিতে এটা একটা বড় ক্ষতি। ছাত্র আন্দোলন যখন করতাম তখনও ওঁর নেতৃত্বে কাজ করেছি। বাংলার রাজনীতিতে এক মহান নেতাকে আমরা হারালাম।-- অরূপ বিশ্বাস

ওঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেগুলি মনে করলেই কষ্ট বাড়ছে। আমি সবে কলেজে ভর্তি হয়েছি। সুব্রতদার একান্ত সচিব বাবলু মুখোপাধ্যায়ের ভাই অচিন্ত্য মুখোপাধ্যায় তিনিই একডালিয়াতে থাকতেন, সেই আমাকে প্রথম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যান। সালটা ৭১। সেই থেকেই সুব্রতদার সঙ্গে আমার আলাপ। রাজনৈতিক তত্ত্বকথায় নয়, ওঁকে দেখে ছাত্র পরিষদে নাম লিখিয়েছিলাম। আজ আমার প্রকৃত গুরু বিয়োগ হল।  - পার্থ চট্টোপাধ্যায়

সাতের দশকে বাংলা রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটেছিল থ্রি-মাস্কেটিয়ার্স-এর। এরা ছিলেন প্রিয়র়ঞ্জন দাসমুন্সি, সোমেন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রিয়রঞ্জন এবং সোমেন চলে গিয়েছেন। বাকি ছিলেন সুব্রত। এবার তিনি পাড়ি জমালেন অমৃতলোকে।

১ নভেম্বর এসএসকেএম-এ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অধীর চৌধুরী। সেদিন অনেক কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। সুব্রত-র দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এসেছিলেন অধীর। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে তাই আপাতত শোকে বাকরুদ্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা। 

বৃহস্পতিবার বিকেলেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএসকেএম উডবার্ন ওয়ার্ডে দেখা করেছিলেন মানস ভুঁইয়া। সন্ধ্যায় মানস ভুঁইয়া মেদিনীপুরেও ফিরে যাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পান এবং গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। 

রাজনীতির অ-আ-ক-খ বলতে গেলে হাতে ধরে শিখিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তাঁর এই আকস্মিক প্রয়াণ আমার মতো আরও অনেকের কাছেই এক বিশাল ক্ষতি-- ফিরহাদ হাকিম। 

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেতেই এসএসকেএম-এ যান মমতা, তিনি জানান জীবনে অনেক ঝড়-ঝঞ্জা-বিপর্যয়ের সম্মুখিন হয়েছেন, কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ তাঁর কাছে একটা বিশাল বিপর্যয়, তিনি কোনওভাবেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ দেখতে পারবেন না বলেও জানান মমতা। 

এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রাতেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পিস ওয়ার্ল্ডে। আজ সকাল ১০টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে সকলে প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে কোভিড বিধি মেনে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখান থেকে মরদেহ যাবে বালিগঞ্জে একডালিয়া এভারগ্রিনের বাড়িতে। সেখান থেকে অন্তিম যাত্রা কেওড়াতলা মহাশ্মশান। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সুব্রত-র।