পার্শ্ব শিক্ষকদের থেকে কাটমানি খাচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শিক্ষকদের

Published : Nov 11, 2019, 03:58 PM IST
পার্শ্ব শিক্ষকদের থেকে কাটমানি  খাচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শিক্ষকদের

সংক্ষিপ্ত

ভাতা নয় বেতন কাঠামো অন্তর্ভুক্তি চাইলেন পার্শ্ব শিক্ষকরা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পার্শ্ব শিক্ষকরা পার্শ্ব শিক্ষকদের থেকেও কাটমানি খাচ্ছে সরকার অভিযোগ পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের


পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ বেতন কাঠামো মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে দেখানো হচ্ছে। অথচ সেই কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছে না পার্শ্ব শিক্ষকরা। শিক্ষকদের পকটে কেটে কাটমানি বাবদ এই টাকা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমনই অভিযোগ করলেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। 

রবিবার বিকাশ ভবনের ১০০ মিটার দূরে শর্তসাপেক্ষে ধর্নায় বসার অনুমতি পান ৩০০ জন পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষিকা। বাকিদের ক্ষেত্রে ধর্নায় বসার অনুমতি মেলে সেন্ট্রাল পার্কের পাশে বিধান চন্দ্র রায়ের মূর্তির কাছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের  নির্দেশ মেনে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক মেলা মাঠের সামনে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিক্ষোভে সামিল হন। 

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ পনেরো বছর কাজ করেও পার্শ্ব শিক্ষকদের সম্মান দেয়নি রাজ্য সরকার। পিএবি-এর রিপোর্ট শিক্ষা দফতর থেকে পাশ হয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে যায়। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য বেতন কাঠামো করে পাঠানো হচ্ছে। অথচ যে কাঠামো করে পাঠানো হয় তা দেওয়া হয় না। সেই রিপোর্ট মেনে বেতন কাঠামো করতে হলে আপার প্রাইমারির শিক্ষকরা পাবেন ৩৩ হাজার টাকা।  আর প্রাইমারিতে পাবে ২৬ হাজার টাকা। কিন্তু এখন প্রাইমারিতে পার্শ্ব শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকা, আর ১৩ হাজার টাকা আপার প্রাইমারিতে। মাঝখানের এই ২০ হাজার টাকা কোথায় যাচ্ছে ? এটা মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্ন। কেন এই শোষণ কেন এই বঞ্চনা। তাহলে কি এটা আমরা ধরে নেব, যে কাটমানির মতো কথা আমরা চারিদিকে শুনছি সেই কাটমানি রাজ্য সরকার নিচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের পকেট কেটে।

এদিন পার্শ্ব শিক্ষকরা দাবি করেন, অবিলম্বে তাঁদের সহকারী শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। থোক টাকার পরিবর্তে বেতন কাঠামোয় উন্নীত করতে হবে পার্শ্ব শিক্ষকদের। সহকারী শিক্ষকদের সমান বেতন কাঠামো দিতে হবে তাঁদের। এখানেই শেষ নয়,এতদিন কেটে গেলেও পার্শ্ব শিক্ষকদের ৭০ শতাংশকে সিসিএল-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অবিলম্বে এদার সিসিএল-এর অধিকার দিতে হবে।

ভাতা নয়, তাদের বেতন কাঠামোয় আনার দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে ওয়াই চ্যানেলে প্রায় ৪৮ হাজার পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষিকা ৭ দিন ধরে ধর্না অবস্থানে বসতে চেয়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে আবেদন জানিয়েছিল। অনুমতি না পেয়ে তারা হাইকোর্টে যান। ররিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক বিকাশ  ভবনের ওয়াই চ্যানেলের পরিবর্তে ১০০ মিটার দূরে ধর্নায় বসার অনুমতি দেন এবং রাজ্যের সঙ্গে বসে বিষয়টি ঠিক করতে বলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। ৪৮ হাজারের পরিবর্তে ৭ হাজার জন ধর্নায় বসতে চাইলেও পুলিশ সাড়া দেয়নি। ফের তারা আদালতে আসেন। তখন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ১১ নভেম্বর থেকে সাতদিন ধরে তাদের ধর্নায় বসার অনুমতি দেন। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

বছর শেষের আগে মোদীর পর বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, ভোটের রণকৌশল ঠিক করে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি?
৩০০ দিনের দারুন রিচার্জ প্ল্যান সঙ্গে আনলিমিটেড ডেটা কলিং নিয়ে এল BSNL