হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে যখন দেশের সর্বত্রই উৎসবের মেজাজ, তখন ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে কবি মন্দাক্রান্তা সেন। সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। চাপের মুখে শেষপর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন তিনি। মুছে দিলেন বিতর্কিত পোস্টও।
শুক্রবার ভোরে হায়দবাবাদে এনকাউন্টারে নিহত হয় তরুণী পশু চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজন। তেলেঙ্গানা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্জমুখ সকলেই। রাতারাতি হিরো বনে গিয়েছেন সাইবারাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার। তবে সকলেই যে এনকাউন্টারকে সমর্থন করছেন, এমন কিন্তু নয়। বরং পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারাধীন চার বন্দিকে গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীদের একাংশ। পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে টিভি চ্যানেলে একটি বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন কবি মন্দাক্রান্ত সেন। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন বিশিষ্ট এই কবি। তিনি লেখেন, 'একটি টিভি চ্যানেলে তেলেঙ্গানা কাণ্ডের আলোচনা সভায় গিয়েছিলাম..... এক স্বনামধন্য মানবাধিকার কর্মীর হিংস্র মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতার কথা জানি। অনুষ্ঠানের পর তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার মেয়ে সঙ্গে এমনটা হলে, আপনি কি ধর্ষক ও হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড চাইতেন না? তিনি ভয়ানক উত্তেজিত হয়ে বললেন, না চাইতাম না। চাইলে আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতাম।' মন্দাক্রান্তা সেনের সংযোজন, 'আমি একদিনের জন্য পুরুষ হতে চাই। আপনার কন্যাকে আপনার কন্যাকে ধর্ষণ করে বীভৎস মজা লুটে নিতে চাই। নিয়ে মেরে দিতে চাই। আমার মৃত্যুদণ্ড হলে জানি আপনিই আমার হয়ে লড়বেন। ' কবি মন্দাক্রান্তার সেনের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কে ঝড় ওঠে।
রবিবার রাতে ফেসবুকে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে পাল্টা পোস্ট দিয়েছেন মন্দাক্রান্ত। তাঁর সাফাই, 'আমি বলতে চেয়েছিলাম, আমি ধর্ষক হলেও এদেশে আমার কোনও শাস্তি হবে না। কেউ কেউ আমার মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। 'আমাকে সংশোধন' করা হবে।' কবির আক্ষেপ, 'কেউ যদি আমার গভীর যন্ত্রণার নিহিত অর্থ ও তাৎপর্য বুঝতে না বুঝে ক্রুদ্ধ হন, তাহলে আর কী যাবে!'