সূত্রের খবর, বেশিরভাগ পুলিশই সাদা পোশাকে মজুত ছিলেন ঘটনাস্থলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিক্ষোভ মিছিলের রুটম্যাপটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্যেই ছিল যাবতীয় তৎপরতা। বলাই বাহুল্য কেশব ভবনের সুরক্ষার দিকেও নজর ছিল তাঁদের।
রাজ্যে নৈরাজ্য আর হিংসার ছবিটা তো বদলালই না উলটে মুখ পোড়াল মমতার পুলিশ। বিদ্যাসাগরের মূর্তিভাঙার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্র, যুবদের মিছিলে আক্রমণ চালাল রাজ্য পুলিশ।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ গত মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করতে জড়ো হন বিদ্যাসাগর কলেজের প্রাক্তনী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ধীরে ধীরে যোগ দেয় আইসা, ইউএসডিএফ-এর মতো ছাত্রসংগঠনগুলির সমর্থকরা। ছিলেন সাংস্কৃতিক জগতের নানাজন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাট্যকার জয়রাজ ভট্টাচার্য জানালেন, "বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালাল পুলিশ। আমাদের প্রথম থেকেই কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। মিছিল কেশব ভবনের সামনে যেতেই আমাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পাঁচজন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"
ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর কলেজের প্রাক্তনী অরিত্রা দাশগুপ্ত। তাঁর মতে, "কেশব ভবনে মিছিলটা যাবে এ কথা পূর্বনির্ধারিত ছিল না। তবে পুলিশ অনুমান করেছিল। কেশব ভবনের সামনে ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে চড়াও হয় পুলিশ।"
সূত্রের খবর, বেশিরভাগ পুলিশই সাদা পোশাকে মজুত ছিলেন ঘটনাস্থলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিক্ষোভ মিছিলের রুটম্যাপটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্যেই ছিল যাবতীয় তৎপরতা। বলাই বাহুল্য কেশব ভবনের সুরক্ষার দিকেও নজর ছিল তাঁদের।
আপাতত প্রহৃত পাঁচজনকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত দুই জনের নাম কল্পক গুহ, ধৃতিমান ভট্টাচার্য। চোট পেয়েছেন নাট্য কর্মী পাঞ্চালী কর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, শৌভিক মুখোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে এফআআইআর দায়ের করতে চাইছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা।