ছেলে কাজের সূত্র থাকে বাইরে । মেয়ের বিয়ে হয়েছে অন্য শহরে। বাড়িতে বাস কেবল অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। সল্টলেকে এমন পরিবারের সংখ্যা কম নয়। যেকোন সময় অসহায় এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে ঘটে যেতে পারে যেকোন ধরণের বড় বিপদ। তাদের কথা ভেবেই এক অভিনব পদক্ষেপ নিল বিধাননগর পূর্ব থানা। এবার থেকে পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কোনও সমস্যার কথা লিখলে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেবে বিধাননগর পূর্ব থানা। এই থানার অন্তর্গত সল্টলেকের ২১টি ব্লকের বাসিন্দারা প্রত্যেকেই এখানে সমস্যা জানানোর সুযোগ পাবেন। সম্প্রতি এই ব্যবস্থার সূচনা করলেন বিধাননগর পৌর নিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
সল্টেলেকের প্রতিটি ব্লকের রয়েছে পার্ক। এই সব পার্কে এসে মাঝেমধ্যেই আড্ডা জমায় বহিরাগত যুবকরা। অনেক সময়ই চুরি, ডাকাতি বা দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে এই বহিরাগতদের দল। এছাড়াও এই শহরে রয়েছে একাধিক হোটেল ও গেস্টহাউস। সেখানে এসেও বসবাস করে বহু বাইরের মানুষ। এদের মধ্যে অনেকের ব্যবহারই হয় সন্দেহজনক। অনেক সময়ই এই বিষয়ে পুলিশকে জানাতে দেরি হয়ে যেত। অনেকের কাছে থানার নম্বর না থাকায় খবর দেওয়া দিতে পারতেন না । আবার অনেক সময় ব্লক সেক্রেটারি ও প্রিসেডেন্টকে জানিয়ে পুলিশের কাছে পৌঁছতে দেরি হয়ে যেত। তাই জনসংযোগ বাড়াতে এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করল বিধাননগর পূর্ব থানা। ২১টি ব্লকে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্যকে এই গ্রুপের সদস্য করা হবে। ফলে পুলিশকে সরাসরি সমস্যা জানাতে আর কোনও বাধাই থাকবে না নাগরিকদের।
বিধাননগরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থেল পৌঁছতে পৌঁছতে কাজ হাশিল করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে এই হোয়াট্অ্যাপ গ্রুপ দ্রুত সমস্যার সমাধান করবে বলেই আশা বিধাননগর পূর্ব থানার । তবে নাগরিররা যেন এই গ্রুপে গুড মর্নিং বা গুড নাইটের মত ম্যাসেজ পাঠিয়ে কাজে বিঘ্ন না ঘটান সেই অনুরোধও জানিয়েছে পুলিশ।