রাজ্য়ে সিএএ নিয়ে প্রতিবাদের মাঝেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১১ জানুয়ারি পোর্ট ট্রাস্টের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেদিনই বিকেলে দিল্লি চলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি কলকাতায় রাজভবনেই উঠবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সিএএ নিয়ে রাজ্য়ে প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন কিনা সেই কথাই পাক খাচ্ছে রাজ্য় রাজনৈতিক মহলে।
রাজনীতির কারবারীদের বলছেন অন্য কথা। মোদী পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্য়ে আসবেন অথচ কিছু না বলেই চলে যাবেন , এটা হতে পারে না। সিএএ নিয়ে রাজ্য়ে মমতাকে টক্কর দেওয়ার জন্য মোদীর আগমনই যথেষ্ট। তিনি দুদিন রাজ্য়ে থাকবেন অথচ, কোথাও সিএএ নিয়ে বক্তব্য় রাখবেন না, তা বিশ্বাস করতে পারছে না কেউই।
মুরলীধর স্ট্রিটের কর্তারা বলছেন, রাজ্য়ে সিএএ নিয়ে কথা বললে উজ্জীবিত হবে নীচু তলার কর্মীরা। যে মুসলিমদের মধ্যে সিএএ নিয়ে আতহ্ক সৃষ্টি হয়েছে বুকে বল পাবেন তারাও। রাজ্য়ের বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে, লোকসভা ভোটে ২ থেকে ১৮ টা সিট পাওয়ার পর নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি বিজেপি। তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে শূ্ন্য় পেয়ে এখন কিছুটা হলেও থমকেছে বিজেপির বিজয়রথ।
পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়তে না পেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে মোদী হাওয়ায় ভর করে আর এগোতে পারছে না অমিত শাহরা। পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ বিরোধী প্রচারে নিজেদের পালে হাওয়া টানতে পারেনি দিলীপ বাহিনী। কার্যকরী সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডার মিছিলে লোক হলেও সাধারণ মানুষের মনে সিএএ নিয়ে আতঙ্ক কাটেনি। যার জেরে মোদীর আগমন অক্সিজেন জোগাতে পারে রাজ্য়ের গেরুয়া ব্রিগেডে।