গোটা দিনই মেঘ আর রোদ্দুরের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা চলেছে। দুপুরের পর থেকেই ফের মেঘে ঢাকে আকাশ। এমনকী, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে রাজ্যে শীতের আমেজও তেমন একটা নেই বললেই চলে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই রাজ্যে তেমন একটা শীত অনুভূত হচ্ছে না।
সপ্তাহের প্রথম দিন (Monday Morning) সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার (Cloudy Sky)। রাজ্যের বেশ কিছু প্রান্তে কুয়াশাও (Fog) দেখা গিয়েছিল। বেলা বাড়তে কুয়াশা কেটে গেলেও রোদের তেজ তেমন একটা ছিল না। গোটা দিনই মেঘ আর রোদ্দুরের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা চলেছে। দুপুরের পর থেকেই ফের মেঘে ঢাকে আকাশ। এমনকী, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে রাজ্যে শীতের আমেজও (Winter) তেমন একটা নেই বললেই চলে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই রাজ্যে তেমন একটা শীত অনুভূত হচ্ছে না।
আবহাওয়া দফতরের (Weather Office) খবর অনুযায়ী, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে এসেছে। আর তার প্রভাবে আজ থেকে বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। সেই কারণেই সকাল থেকে কলকাতা (Kolkata) ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে রোদের তেমন দেখা পাওয়া যায়নি। আর আগামীকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হবে কলকাতাসহ রাজ্য জুড়ে। তবে বৃষ্টি খুব বেশি পরিমাণে হবে না। হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বৃষ্টির পরিমাণ কম। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জের, আগামী ২৪ ঘন্টায় হালকা-মাঝারি বর্ষণ দক্ষিণবঙ্গে
হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলাতেও (Gangasagar Mela) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের দিকে দৃশ্যমানতা কম থাকবে। রাতের তাপমাত্রা বাড়লেও বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকায় শীত অনেকটাই কম থাকবে। আর এই অসময়ে বৃষ্টির ফলে আলু চাষ ও সবজি চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হবে হালকা থেকে মাঝারি। ১১ তারিখ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ,পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর হালকা বৃষ্টি হবে। ১২,১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা দুই বঙ্গের ক্ষেত্রেই দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেড়ে যাবে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যে প্রবেশ করতে পারছে না উত্তুরে হাওয়া। আর সেই কারণেই রাজ্যে তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি।