এবার সম্ভবত বৃষ্টির মুখ দেখতে পারেন কলকাতাবাসী। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১ থেকে ৩ মে-র মধ্যে শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখা মিলছে রোদের। আর ভোর থেকেই বাড়ছে রোদের তেজ। বৃষ্টি তো দূর, মেঘলা আকাশেরই দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আর বেলা বাড়ার সঙ্গেই সঙ্গেই শুরু হয়ে যাচ্ছে হাঁসফাঁসানি গরম। গরমে যেন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। বেলার দিকে বাড়ি থেকে বের হতে গেলেই ভয় করছে। রোদের তেজে পুড়ে যাচ্ছে গা। বৈশাখের এই গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু, তা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হয়নি। কলকাতায় তো বৃষ্টির দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টির পরিবর্তে তাপপ্রবাহ চলছে একাধিক জেলায়। আর তার মধ্যেই এবার আশার কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর।
এবার সম্ভবত বৃষ্টির মুখ দেখতে পারেন কলকাতাবাসী। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১ থেকে ৩ মে-র মধ্যে শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তবে অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন- উঃ কি গরম! তাপপ্রবাহের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি, নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস
এই সময় অন্য বছরগুলিতে তিন থেকে চারটি কালবৈশাখী হয়ে যায়। কিন্তু, এবছর এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে একটিও কালবৈশাখী হয়নি। বহু দিনই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। শীতের সময় উত্তরবঙ্গের থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বেশি হয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে আর বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। সেই ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষবার বৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। তারপর থেকে আর বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। মে মাসের শুরুতে এখন কলকাতায় স্বস্তির বৃষ্টি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে চালু হোক মর্নিং স্কুল, নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর
তবে মঙ্গলবারও কলকাতার পরিস্থিতি একেবারে নাজেহাল। সকাল থেকেই রোদের তেজ ছিল খুব বেশি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এছাড়া আগামী কয়েকদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থতি বজায় থাকবে। অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
আসলে উত্তর ও পশ্চিম দিক থেকে আসা শুকনো গরম হওয়ার কারণেই তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের তীব্র অভাব রয়েছে। আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল তাপপ্রবাহ হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম আর বীরভূমে। প্রবল গরম রয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও। মালদহ আর দক্ষিণ দিনাজপুরেও হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা।