মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন। পয়লা জানুয়ারি থেকে বেতন বাড়ছে সরকারী কর্মচারীদের। বর্ধিত বেতন মিলবে ফ্রেরুয়ারি মাস থেকে। নয়া কাঠামো অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দিতে প্রতি মাসে সরকারের অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। আর নতুন রোপা অনুসারে বছরে খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা।
নয়া বেতন কাঠামো কার্যকর হয়নি, বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতাও। ক্ষোভ বাড়ছিল সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্য পালাবদলের পর ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করে সরকার। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি, বরং পাঁচ দফায় বাড়ানো হয় বেতন কমিশনের সুপারিশ পেশের মেয়াদ। লোকসভা ভোটের পর পে কমিশন নিয়ে পদক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি কর্মচারীদের অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে জানুয়ারি মাস থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'সরকার আপনারা যত দেবেন আপনারা, আপনাদেরও তত ঢেলে দেবে সরকার। আপনাদের সরকারের উপর ভরসা রাখুন।' মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা অনুযায়ীই অবশেষে জানুয়ারি মাস থেকে বেতন বাড়তে চলেছে সরকারী কর্মচারীদের।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে কাটল আনন্দলোক জট, ফের খুলল হাসপাতাল
কিন্তু স্রেফ সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করলেই তো হবে না। পেনশন বাড়বে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদেরও। বেতন ও পেনশন বাবদ এই অতিরিক্ত টাকা আসবে কোথা থেকে? অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর, এখন যে পরিমাণ কর আদায় হয়, তাতে সমস্যা হবে না। কিন্তু আগের ঋণের জন্য় সরকারকে বছরে ৫৬ হাজার কোটি টাকা সুদ দিতে হয়। তারসঙ্গে যোগ হল বেতন ও পেনশন বাবদ আরও দশ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ। এদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে সদিচ্ছার কারণেই নয়া বেতনক্রম কার্যকর হতে চলেছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ফেডারেশন।