৩৯ তম বর্ষে পদার্পন করতে চলেছে সল্টলেকের সর্ববৃহৎ সরকারি আবাসন এ-জি ব্লকের পূজো। বৈশাখী আবাসন, শরৎ আবাসন এর মত কয়েকটি আবাসনের কিছু বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত কিছু লোকেদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এখানকার পুজো কমিটি। এছাড়া ব্লকের কিছু বড়ো দোকানদার এবং ব্যবসাদার চাঁদা দিয়ে পুজোর বাজেট জুগিয়ে থাকেন। এ বছর তাদের মণ্ডপটি গড়ে উঠেছে মন্দিরের আদলে।
আরও পড়ুন- মাতৃ আরাধনায় তরঙ্গের আশ্রয়ে সল্টলেকের লাবণী আবাসন
এ-জি ব্লক পুজোর সম্পাদক সুখেন্দু খামারুল জানিয়েছেন পুজোর আড়ম্বরের চেয়েও বেশি সমাজকল্যানমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাঁরা। শিল্পী মৃন্ময় পালের নেতৃত্বে গড়ে উঠছে প্রতিমা। এ-জি ব্লক একবারে চাঁদা তুলে দুর্গা পুজো, কালি পুজো দুটিই সেরে থাকে, বিভিন্ন মানের সরকারি কর্মচারীদের কাছে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে চাঁদা কালেক্ট করে থাকেন তারা। পুজোর কাজ এবং বিভিন্ন সমাজকল্যান মূলক কাজও তারা এই একই বাজেটের মধ্যে থেকে করে থাকেন। ফলে বাইরে থেকে মণ্ডপ শিল্পী না আনিয়ে নিজেদের মধ্যে থেকেই শিল্পী তুলে আনার কাজ করছেন সম্পাদক সুখেন্দু খামারুল, নিজে নিজেও এক সময় আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এতে খরচ অনেকটাই বাঁচে। তাছাড়া নবমীতে এখানে প্রায় ৩০০০ লোককে বসিয়ে খাওয়ানো হয়। পুজোর সময় দুঃস্থদের জন্য বস্ত্র বিতরণেরও ব্যবস্থা থাকে। ব্লকের মহিলা এবং পুরুষদের নিয়ে আলাদা আলাদা দুটি নাটকও অনুষ্ঠিত হয় পুজোর দিনগুলির মধ্যে সব মিলিয়ে পুজোর সময় এক বিরাট কর্মযজ্ঞ চলে এই ব্লকে।
আরও পড়ুন- কলকাতায় বসে তীর্থ দর্শন, পুজোর বিশেষ চমক হালদার বাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিতে
এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চাক্ষুস করতে হলে আপনাকে আসতেই হবে সল্টলেক এ-জি ব্লকের এই পুজোয় যাকে সকলে মিনি ভারতবর্ষ-ও আখ্যা দিয়ে থাকেন কারণ হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন সকল ধর্মের মানুষই বসবাস করেন এই ব্লকে, এবং দুর্গাপুজোর সময় সকল ধর্মের মানুষ পুজোয় অংশগ্রহণ করে থাকেন।