বৃহস্পতিবার একুশের দুর্গা পুজো উপলক্ষে প্রতিমার বায়না সারবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এদিন দুপুর গড়ালেই ঢাকে পড়বে কাঠি। কুমোরটুলির মিন্টু পালের স্টুডিওতে পাড়ি দেবেন সদলবলে সজল ঘোষ এবং দুর্গোৎসব কমিটি।
আরও পড়ুন, আজ থেকে খুলে গেল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মায়ের মন্দির, পুজোতে ফুল-সিঁদুর নিষিদ্ধ
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সজল ঘোষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা ঠিক সাড়ে তিনটে নাগাদ আমরা পৌঁছে যাবো কুমোরটুলিতে শিল্পী শ্রী মিন্টু পালের স্টুডিওতে, যেখানে আমরা এবছরের মা দুর্গার বায়না করব। শুধু আতঙ্ক নয়, জীবনে বাঁচতে গেলে কিছু আনন্দেরও প্রয়োজন আছে, আমার মনে হয় আজকের এই বার্তা আপামর বাংলার মানুষের জীবনে একটা ছোট্ট খুশির দমকা হাওয়া নিয়ে আসবে।করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে গত বছর আমরা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলাম এ বছরও আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।' শিল্পী মিন্টু পাল জানিয়েছেন, আমি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসবের সঙ্গে পাঁচ-ছয় বছর ধরে কাজ করছি। ওরা বেলা তিনটেয় আসেবন বলে জানিয়েছেন।' ২০২০ সালের দুর্গাপুজোয় লেবুতলার থিম ছিল সাবেকি পাঁচ চাল চিত্র। প্রতিমা ধরে উচ্চতা হয়েছিল ১৬ ফুট' কোভিড পরিস্থিতিতে স্মৃতি আওড়ে স্বস্তি পেলেন শিল্পী।
আরও পড়ুন, 'ভ্যাকসিন নিয়ে সিন্ডিকেট চলছে-জড়িত সবাই', কসবাকাণ্ডে তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির মাঝেই আবার দেখতে দেখতে বছর ঘুরে উমা মায়ের আসার সময় হয়ে গিয়েছে। শুভ বলতে এটুকুই, রাজ্যে আগের থেকে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে। বর্ষা পেরোলেই উঁকি দেবে কাশ ফুল। ঢাকি দুটো রোজগারের আশায় দীর্ঘ অপেক্ষায়। তবে কিছুর উপরেই খল নায়ক কোভিড। সঙ্গে ঢুকেছে ডেল্টা আতঙ্কও। আগের বছর পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এবারও পরিস্থিতি একই পথে। তবে এত মৃত্যু মিছিলের পরে রোজগার হারিয়েও দুর্গা দর্শন সবাই করতে চায়। প্রণাম করে মন কামনা সবাই জানাতে চায়। তাই এদিন বায়না সারবে কলকাতার অন্যতম লেবুতলা পার্ক অর্থাৎ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।