রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বার বার আন্দোলনে নামছেন শিক্ষকরা। বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে স্কুল ও মাদ্রাসা ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনও। গতবছর অগস্ট মাসে শিক্ষা সচিবের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলেন তারা। বছর কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলতি বছর জুলাই মাসে তাই ফের রাজপথে নামেন করণিকরা। চিঠি দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীকে। গত ২৬ অগস্ট বিকাশভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এই সংগঠন। নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবার আরও একবার পথে নামলেন করণিকরা। রানি রাসমনি অ্যাভিনউয়ের বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দওয়া হল বৃহত্তর আন্দোলনের।
রাজ্য প্রশাসন তাদের উপর অত্যাধিক দায়িত্ব চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ স্কুল ও মাদ্রাসার করণিকদের। পাশাপাশি করণিক পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে করার দাবিও তোলা হচ্ছে। বেতন ক্রম বৃদ্ধির জন্য আওয়াজও তুলেছেন তারা। মূলত এই তিনটি দাবি সহ ১০ দফা দাবিতে পথে নেমেছেন রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসার করণিকরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় পাঁচ হাজার করণিক অংশ নেন বলে দাবি সংগঠনের।
গত ২৬ তারিখ বিকাশভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলন করণিকরা। কিন্তু বিধাননগর উত্তর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির অজুহাতে তাদের আন্দোলন মাঝপথে বন্ধ করে দেয়। সেদিন শেষপর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন করণিকরা।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীর চুলে টান, কেন্দ্রের অর্থ পাবে তো যাদবপুর
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই অসেন্তাষের আগুন জ্বলছে শিক্ষাক্ষেত্রে। প্রাইমারি শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক থেকে কম্পউটার শিক্ষক, সবাই পথে নেমেছেন নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের খুশি করতে ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী নির্বাচনে সাফল্য পেতে শিক্ষাক্ষেত্রকে সন্তুষ্ট করাও বড় চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।