স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতা করছিলেন শিক্ষকরা। অনেকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে পেয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল বদলের সুযোগ থাকলেও তা সময় সাপেক্ষ। তাই সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে না থেকে বাড়ির কাছাকাছি স্কুল পেতে নতুন করে এসএসএসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষকরা। পুনরায় এসএসসি পরীক্ষা পাশ করে বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে চাকরিও পেলেন। কিন্তু তারপর দেখা গেল, আগে যা বেতন পেতন তার থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকমহলের একাংশের।
স্কুল শিক্ষকদের জানান, বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে চাকরি করতেই নতুন করে প্রস্তুতি নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা। তাছাড়া, নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কাছে স্কুল পেতে আবেদন করলে তা অনেক সময় লেগে যায়। আবার আদৌ বাড়ির কাছে স্কুলে চাকরি হবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা থাকে। তাই আবদন করে অপেক্ষায় বসে না থেকে পুনরায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে চাকরি পাওয়ার পর তাঁরা দেখলেন বেতন প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আগের শিক্ষকতা করার মূল্য না পেয়ে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন চাকরি পাওয়া নতুন শিক্ষকদের মতো। এই অবস্থায় তাঁরা আগের ১০ বছরের অভিজ্ঞতার দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করলেন শিক্ষকরা।
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বেতন বৈষম্য কেন? কেনই বা তাঁরা অনার্স গ্র্য়াজুয়েট শিক্ষকদের মত বেতন পাবেন না? প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে শিক্ষকদের বেতন সুরক্ষা ও চাকরির ধারাবাহিকতার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।