স্ট্র্যান্ড রোডের পূর্ব রেলের অগ্নিদগ্ধ অফিস সংলগ্ন এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আর সেখানে গিয়ে প্রবলভাবে সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। তিনি বলেন, পুরো বিষয় সম্পর্কে তিনি অবজন। সমস্ত তথ্যই সংগ্রহ করেছেন তিনি। আর তাতে তিনি দেখেছেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেলের কোনও দোষ নেই। দমকলে আরও আধুনিকিকরণ জরুরি ছিল।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, গতকাল রেলের আধিকারিকরা নিজেরাই তৎপর হয়ে নিয়েছেন ১৫ তলায় আগুন লেগেছে। ৬টার সময় ঘটনাস্থলে আসে দমকল কর্মীরা। তিনি বলেন, ২০১০ সালে পার্কস্ট্রিটের পর এটাই কলকাতার সবথেকে ভয়াবহ আগুন। কিন্তু পার্কস্ট্রিটের ঘটনার পরেও সচেতন হয়নি দমকল, বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন। প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার কারণেই রেলের অফিসের আগুন ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আরও তৎপর হওয়া জরুরি। কিন্তু আমফানের সময় থেকেই স্পষ্ট হয়েগিয়েছিল ব্যর্থতা। সেই সময় কলকাতা টানা ৭ দিন ধরে সমস্যায় পড়েছিল। তা তিনি লক্ষ্য করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। কলকাতার উন্নয়নেরও এদিন জোর দিয়েছেন রাজ্যপাল।
গতকাল সন্ধ্যের সময় আগুন লাগে রেলের ভবনে। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়ঙ্কর এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছে৯ জনের। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকল বাহিনী শর্টসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড। এই আগুনের জেরে ব্যহত হয় পরিষেবা। এদিন প্রায় বন্ধ ছিল টিকিট বুকিং সেন্টারগুলি। কারণ আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছেন পূর্ব রেলের কম্পিউটারের সার্ভার।