কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে শুরু 'কড়া' লকডাউন, ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিল কলকাতা পুলিশ

  • বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা বাজতেই লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে
  • মোহিনী মোহন রোড সহ একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে  
  • বজবজে কনটেনমেন্ট জোনেও পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে 
  •  প্রতিটি কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে  

Ritam Talukder | Published : Jul 9, 2020 12:40 PM IST / Updated: Jul 09 2020, 06:13 PM IST


নতুন করে লকডাউন শুরু। আনলক ওয়ানের পর করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো বাদে অন্য়ান্য পরিবহণ ব্য়বস্থা স্বাভাবিক হতে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে করোনাভাইরাস। তারই মধ্যে আচমকাই বাড়তে শুরু করে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যার জেরে অজান্তেই রোগী করোনা বহন করে নিয়ে গিয়েছে। অনেক পরে জানা গিয়েছে সে করোনা আক্রান্ত।  আবার অনেকক্ষেত্রে উপসর্গবিহীন হওয়ায় না জানতে পেরে  মারা গিয়েছে করোনা রোগী। মৃত্য়ুর পরে করোনা টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই যে হারে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্য়া বাড়ছিল, তাকে সামাল দিতে কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে  কড়া শুরু হল কড়া লকডাউন।

 আরও পড়ুন, রাজ্যে প্রথম করোনা-ডেঙ্গুর জোড়া সংক্রমণ, প্রাণ হারালেন দক্ষিণ কলকাতার এক প্রৌঢ়

কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে লকডাউন শুরুর আগেই পৌছে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। শহরতলির ক্ষেত্রেও সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্য়েই বিকেল ৫ টা বাজতেই মোহিনী মোহন রোড, চক্রবেড়িয়া রোড, বলরাম বোস ফার্স্ট লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে,বজবজে কনটেনমেন্ট জোনেও পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ নং ওয়ার্ডে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড  এর অধোরদাস  ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে বজ বজ থানার পুলিশ প্রশাসন।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪,৮২৩৷ স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত ৮২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে রাজ্য।

 আরও পড়ুন, দেশকে ভালবেসে নিলেন জীবনের ঝুঁকি, করোনার প্রতিষেধকের প্রয়োগে ডাক পেলেন এই স্কুলশিক্ষক


  প্রশাসনের যুক্তি অনুযায়ী, করোনা সংক্রমিত এলাকা 'এ' জোন এবং বাফার জোন অর্থাৎ 'বি' জোনকে নিয়ে এই লকডাউন। অপরদিকে কলকাতার  কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে লকডাউন চলাকালীন,  যে কোনও ধরনের জমায়েতেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা  হয়েছে। এইসব এলাকায় ঢোকা বেরোনোয় কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে। প্রতিটি জোনের বাইরে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে। কন্টেনমেন্ট জোনের লোকজন যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।  এই সব কন্টেনমেন্ট জোনে যাতে লকডাউন কঠোর ভাবে মানা হয়, তার জন্যে বাহিনীকে আগেই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। আর এবার কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের যেকোনও প্রয়োজনের জন্য সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করল কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভা। এখানে কথোপকথনের মাধ্য়মে প্রয়োজনীয় জিনিসের চার্ট দিলে, সকাল দশটার মধ্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী  পৌঁছে যাবে আবাসনে। সৌজন্যে কলকাতা পুলিশ পুরসভা।

 

 

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

 করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সেনা কর্তার, ফোর্ট উইলিয়ামের শোকের ছায়া

  অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের

Share this article
click me!