'নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে', ওয়ার-রুমে বসে আমফানের মোকাবিলা করলেন মমতা

Published : May 21, 2020, 12:15 AM ISTUpdated : May 21, 2020, 01:39 AM IST
'নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে', ওয়ার-রুমে বসে আমফানের মোকাবিলা করলেন মমতা

সংক্ষিপ্ত

আমফানের দাপটে তছনছ বাংলা নবান্নে ওয়াররুম থেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দাবি শেষ এমন ঝড় বাংলায় হয়েছিল ১৭৩৭ সালে তিনি জানিয়েছেন বাংলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে  

বুলবুল, ফনি ভয় দেখালেও, সেভাবে প্রভাব পড়েনি বাংলা তথা কলকাতায়। কিন্তু সুপার সাইক্লোন আমফান সব হিসাব ঘেঁটে দিল। সাম্প্রতিককালে এমন অভূতপূর্ব ঝড় বাংলা দেখেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন শেষ এমন ঝড় বাংলায় হয়েছিল ১৭৩৭ সালে। বুধবার গোটা রাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমেই ছিলেন তিনি।

রাত আটটা নাগাদ নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'এ জাতীয় ধ্বংসাত্মক ঝড় সংঘটিত হয়েছিল ১৭৩৭ সালে। আমি ওয়ার রুমে বসে আছি। নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে। আমি যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে একটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি'।

তিনি আরও জানান, এলাকার পর এলাকা এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রশাসন ৫ লক্ষ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। নন্দীগ্রাম, রামনগর এবং এর মতো বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলী, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গার ছবিটাই এক। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালী, গোসাবা, হাবড়া - সব এলাকা বিপন্ন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বহু ব্যক্তি গাছ পড়ে কিংবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। মোট ক্ষয়ক্ষতি হিসাব এখনও করা না গেলেও রাজ্যে মৃতের সংখ্যা অন্তত ১০ বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ঝড়ের দাপট কমলেও সকলকে সতর্ক থাকার উপদেশ দিয়েছেন তিনি। কারণ ঝড়টি অন্তত মধ্যরাত অবধি অব্যাহত থাকবে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

মেসি-কাণ্ডে কলকাতাকে বদনাম করার চেষ্টা! জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
'নবান্ন কাছে থাকলে দিদির আজ খবর ছিল', মেসি-কাণ্ডে মমতাকে কটাক্ষ অধীরের