ওয়ার্ক ফর্ম হোমের আরামের দিন শেষ, কী বলছে শহরের আইটি ও কর্পোরেট সংস্থা

ওয়ার্ক ফর্ম হোমের যবনিকা পড়তে চলেছে। শহরের বিভিন্ন আইটি এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলি এই সপ্তাহের পর থেকে কর্মচারীদের সপ্তাহে অন্তত দুই দিন অফিসে ডাকতে চলেছে।  

Web Desk - ANB | Published : Mar 1, 2022 12:14 AM IST

ওয়ার্ক ফর্ম হোমের (Work From Home) যবনিকা পড়তে চলেছে। শহরের বিভিন্ন আইটি এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলি এই সপ্তাহের পর থেকে কর্মচারীদের সপ্তাহে অন্তত দুই দিন অফিসে ডাকতে চলেছে। তাই প্রযুক্তিবিদ এবং কর্পোরেট এক্সিকিউটিভদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুখের দিন ফুরোতে চলেছে।

উইপ্রোতে (Wipro) ম্যানেজার এবং উপরের পদমর্যাদা সম্পন্ন কোভিড টিকা প্রাপ্ত  কর্মচারীদের সপ্তাহে দুই দিন অফিস থেকে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। উইপ্রোতে অফিস রিটার্ন পলিসি অনেকটাই সহজ। তারা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেবে। ৩ মার্চ থেকে  ম্যানেজার এবং উপরের পদমর্যাদা সম্পন্ন কোভিড টিকা প্রাপ্ত কর্মীচারীরা সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই বিকল্প সুবিধা পাবেন। অন্যান্য কর্মীদের জন্যও এই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে করা হবে বলে জানিয়েছেন উইপ্রোের একজন কর্মকর্তা। পাশাপাশি টিসিএসও কর্মচারীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। তবে যাই হোক ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেল ইতিমধ্যেই হিট। ভবিষ্যতে অনেক কোম্পানিই এই মডেল ব্যবহার করবে। এর ২৫ শতাংশের বেশি প্রয়োজন হবে না। কগনিজেন্টে এটি পর্যায়ক্রমে এপ্রিল থেকে শুরু হবে।

কোভিড আবহে বিভিন্ন কোম্পানিগুলি কর্মীদের বাড়ি থেকে (Work From Home) কাজ করানো মডেল শুরু করে। ওয়ার্ক ফর্ম হোম এই মডেলগুলিকেই কর্পোরেটগুলি ভবিষ্যতের হাইব্রিড মডেল হিসেবে মনে করছে। অর্থাৎ কাজের এমন এক পরিবেশ, যেখানে অফিস কিংবা বাড়ি সব জায়গা থেকেই কাজ করার জন্য উপযুক্ত। এরফলে কর্মচারীদের কাজের জায়গা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয়তা থাকার সুবিধাও রয়েছে।  ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলে নিজের শহর থেকে যাতায়াতের সময় এবং খরচ কমিয়ে কাজ করা। তবে  ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলে মানিয়ে নেওয়ার মতো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেও হয়।

খরচের দিক থেকে বলতে গেলে, কর্মীদের ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। মোবাইল কিংবা টেলিফোনে বেশি খরচ করতে হয়। অফিসের দায়িত্ব পালনের জন্য বাড়িতে বিশেষ স্থানে ওয়ার্ক স্টেশনের ব্যবস্থা করতে হয়। বিদ্যুতের খরচ বেশি হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে একাধিক সদস্যকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ি থেকে বাচ্চাদের জন্য অনলাইন ক্লাসও চলছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, বেতনভোগী শ্রেণিকে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ  ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলে কাজের জন্য টেবিল-চেয়ারের মতো স্থায়ী খরচের পাশাপাশি কর্মচারীদের কিছু চলমান খরচও বাড়ছে। তবে কর্মীদের এই চলমান খরচ নির্দিষ্ট পরিমাপ যোগ্য নয় বলেই ধারণা পাওয়া গিয়েছে।

Share this article
click me!