টিকা পাওয়া অবধি করোনা চরিত্র বদলাবে, সমস্যা থাকবেই, বার্তা সরকারকে

  • দেশীয় দুটি টিকা দ্বিতীয় পর্যায়ে ,সময় দরকার প্রায় ৭ মাস 
  •  ততদিনে ভাইরাসের চরিত্রগত পরিবর্তন বা মিউটেশন ঘটবে  
  • ফলে টিকার প্রচার ছেড়ে করোনা রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মানা উচিত 
  • জানিয়েছেন, আইপিএইচএ-র সেক্রেটারি জেনারেল চিকিৎসক

Ritam Talukder | Published : Sep 2, 2020 11:10 AM IST / Updated: Sep 02 2020, 07:39 PM IST

সাধারণ মানুষরের কাছে প্রতিষেধক বা টিকা এলেই সব বিপদ কেটে যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার বলে এই একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে। যেন প্রতিষেধক বা টিকা এলেই বুঝি সব আগের মতো হয়ে যাবে।   'এটা ঠিক নয়'  বলে সরব হল বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি। 

আরও পড়ুন, মেট্রোয় উঠতে গেলে মানতেই হবে এইসব বিধি, জেনে নিন বিস্তারিত

আইপিএইচএ-র সেক্রেটারি জেনারেল চিকিৎসক সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ  একটি যুক্তি পূর্ণ  ব্য়াখ্য়া দিয়েছেন, 'টিকা এলেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে, এমন ভুল ধারণা সবার আগে ভাঙা দরকার। প্রথমত, দেশীয় দুটি টিকা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। যার দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষার জন্য প্রায় ৬-৭ মাস সময় দরকার। ১৩০ কোটির দেশে যদি অর্ধেককেও টিকা দিতে হয়, সেখানেও প্রচুর সময় লেগে যাবে। এই সময়ের মধ্যে একদিকে  বহু সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়ে নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে যাবেন। আবার তেমনই ভাইরাসের চরিত্রগত পরিবর্তন বা মিউটেশন ঘটবে। ফলে ওই টিকা তত দিনে কতটা কার্যকর থাকবে, এ নিয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে। তাই এসকল প্রচার ছেড়ে বরং করোনা মোকাবিলায় প্রশ্নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় জোর দেওয়া উচিত। '

আরও পড়ুন, বিনামূল্যের দিন শেষ, করোনা পরীক্ষার কিট দেওয়া বন্ধ করল কেন্দ্র, ক্ষোভ রাজ্যের

  সংক্রমণ প্রত্যেকদিনই লাফিয়েবাড়ছে। অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতেও। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশ তাকিয়ে কবে প্রতিষেধক পাওয়া যাবে। চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্য, ভারতে ৩ টি প্রতিষেধক গবেষণার বিভিন্ন পর্যায়ে থাকলেও, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে প্রতিষেধকের কোনও ভূমিকা থাকে না। এটা মনে রাখতে হবে। শেষ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন নিয়ম মেনে টিকা দিনের আলো দেখলে সেটা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজস্ব সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে।  বয়স্ক মানুষ বা যাঁরা অন্যান্য ক্রনিক রোগের শিকার তাঁরা লাভবান হবেন। 

আরও পড়ুন, করোনা নিয়ে মৃত্যুর ৪৮ ঘন্টা পরেও দেহ ভেন্টিলেটরে, চড়া বিলের লোভ কিনা জানতে তদন্ত


অপরদিকে, করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে বিভিন্ন রাজ্য যে লকডাউনের ঘোষণা করেছে তার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওই কমিটি। অবিলম্বে লকডাউন নীতি বাতিলের দাবি করা হয়েছে। কমিটির পরামর্শ, লকডাউন যদি করতেই হয় তা হলে সেটা একবারেই ছোট এলাকায় করা হোক।  তুলনায় মাঝারি বা ছোট শহর বা টাউনে যেখানে সংক্রমণ এখনও সেভাবে ছড়ায়নি, সেখানে এলাকা ধরে ধরে লকডাউন ও সঙ্গে প্রচুর সংখ্যায় পরীক্ষা করার উপরে জোর দিলে বেশি সুফল মিলতে পারে।

 

        

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

Share this article
click me!