করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ বছরের মতো বাতিল হতে পারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে এই পরীক্ষাগুলি নেওয়া সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে পরীক্ষার বদলে কোন পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ করা হবে তা নিয়েও ওই রিপোর্টে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'সরকার পরিবর্তন হয়, আমলারা রয়ে যায়', ভ্যাকসিন ইস্যুর মাঝে কী কারণে এমন বললেন ফিরহাদ
এ বছর মাধ্যমিক শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ জুন থেকে। শেষ হত ১০ জুন। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে ১ জুন থেকে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব বলে জানিয়ে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। অন্যদিকে ১৫ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা আবহের মধ্যে তাও স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই সিবিএসই দশমের পর দ্বাদশ এবং আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই একই পথেই কি হাঁটতে চলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা? করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, করোনা আবহে একুশ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে ওই কমিটি। তারা রিপোর্ট পেশ করলে তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ণ হবে, সেটা পর্ষদ ও শিক্ষা সংসদ জানাবে।
কমিটির বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এখনও টিকাকরণ হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে বসিয়ে হোম অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ণের কথা ভাবা হচ্ছে।
এর আগেও একাধিকবার পিছিয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় করা হবে। স্কুলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে না। স্কুলের নম্বর দেওয়া হবে ঐচ্ছিক বিষয়ে। মাধ্যমিকে ৭টি মূল বিষয়ের পরীক্ষা হবে। উচ্চমাধ্যমিকে ১৫টি আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে। তবে এত কিছুর পরও ফের অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে এই দুই পরীক্ষা। এ বছরের মতো পরীক্ষা দুটি বাতিল করা হবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন।