অবশেষে সুখবর দিল হাওয়া অফিস। দীর্ঘ কয়েক দিনের গুমোট গরম আর অসহনীয় রোদের হাত থেকে সামান্য হলেও মুক্তি পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ।
হাওয়া অফিস থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শনি ও রবিবারের কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে থাকবে মেঘলা আবহাওয়া। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি একেবারে কমে যাবে, এমনটাও মনে করছে না হওয়া অফিস
আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এদিন কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
গোটা মে মাস জুড়েই বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল গড়ে ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টি এসে মানুষকে নিষ্কৃতি দিলেও দুর্ভোগ শেষ হয়নি কলকাতার। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ির মত জেলাগুলিতে। কিন্তু কপাল খোলেনি কলকাতার। বরং ভ্যাপসা গরম ভুগিয়েছে শহরবাসীকে।
গত শনিবার সামান্য কালবৈশাখী শহরকে সামান্য স্বস্তি দিলেও জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতা ছিলই। এদিন পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে উপরে একটা ঘূর্ণাবর্ত ও একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা পর্যন্ত ।এর ফলে জলীও বাষ্প ঢুকে এই বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে।
মৌসম ভবন সূত্রে জানানো, হয়েছে এ বছর ৬ জুন কেরালায় বর্ষা ঢুকবে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব ভারতের কয়েকটি এলাকায়। কবে আসবে বর্ষার সুসংবাদ, প্রতীক্ষায় শহর কলকাতা।
অন্য দিকে, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশে তীব্র দাবদাহ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মৌসম ভবনের। জারি হয়েছে সতর্কতা।