আগামিকাল অর্থাৎ রবিবারও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে রবিবার ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপিশ কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।
বর্ষার আগেই কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড কলকাতাসব বিস্তীর্ণ এলাকায গত তিন দিন ধরেই প্রবল গরম ছিল গাঙ্গেয় উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার সকাল থেকে গুমোট ভাব ছিল। চাপা গরমে কালঘাম ছুটেছিল শহরবাসী। দুপুর থেকেই মেঘ জমতে শুরু করে। বিকেল ৪টে নাগাদ কালো হয়ে যায় আকাশ। তারপরই কালবৈশাখীর দাপট শুরু হয়। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার। বিকেল ৪টে থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় শুরু হয়। দমকা হাওয়া আর তার সঙ্গে বৃষ্টি। তাপমাত্রার পারদ একধাক্কায় কমিয়ে আনে অনেকটা। প্রবল গরম থেকে স্বস্তি মিললেই কালবৈশাখী নিয়ে আসে একটি দুঃসংবাদ। এদিন কালবৈশীখীর দাপটে মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। কলকাতায় গাছ উপড়ে পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। বর্ধমানে চায়ের দোকানের চাল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছ ১৪ বছরের কিশোরের।
প্রবল বৃষ্টির কারণে এদিন কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় জল জমে যায়। ব্যাহত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। এদিন ঘণ্টা খানেকের জন্য ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবাও। আলিপুর হাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিন বিকেল ৫টায় আলিপুরে তাপমাত্রা পারদ এক ধাক্কায় নেমে গিয়ে হয়েছে ২৩ . ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমের তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ২২ ডিগ্রিতে।
আগামিকাল অর্থাৎ রবিবারও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে রবিবার ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপিশ কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। তবে শনিবারও ঝড় থেমে যাওয়ার পরেও বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি হয়।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫. ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির হয়েছে ০১১.৪ মিলিমিটার।
বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে কলকাতার টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ লাইনে একটি গাছে ভেঙে পড়ে। তারপরই গাছ সরাতে দ্রুত উদ্ধারকাজে নামেন রেলকর্মীরা। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছিল মেট্রো পরিষেবা। তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে স্বাভাবিক করে দেওয়া হয় মেট্রো পরিষেবা।
ঝড় বৃষ্টির কারণে এদিন প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, বেহালা, ধর্মতলা, ঠনঠনিকা, কলেজ স্ট্রিটসহ একাধিক জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ির গতিও ছিল অত্যান্ত শ্লথ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল। সেইমতই এদিন দুপুর থেকে কালো মেঘে ঢাকা পড়ে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা। তারপরই ঝড় আর বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত। কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তায় জল জমে গেছে।