খুশকি চুলের সমস্যা হলেও এটি মুখের ত্বকের ওপর খুব ধীরে ধীরে সূক্ষ্মভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। কীভাবে খুশকি আপনার মুখের ওপরে প্রভাব বিস্তার করে তা বোঝার জন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়।
খুশকি সাধারণত মাথাতেই হয়। চুল উঠে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়। মাথা চুলকাতে থাকে। এজাতীয় সমস্যাগুলির মধ্যে পড়তে হয় খুশকি হলে। কিন্তু আপনি কি জানেন খুশকি চুলের সমস্যা হলেও এটি মুখের ত্বকের ওপর খুব ধীরে ধীরে সূক্ষ্মভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। কীভাবে খুশকি আপনার মুখের ওপরে প্রভাব বিস্তার করে তা বোঝার জন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়।
১. শুষ্কতা ও অস্থরতা
খুশকি মাথা ও মুখের ত্বকের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। এটি মাথায় হলেও তার প্রভাব যদি মুখের ওপর পড়ে তাহলে মুখের ত্বকও শুকিয়ে যায়। মাথার মত মুখেও ফুসকুড়ি তৈরি করে। মুখের ত্বকও মাথার মত অত্যাধিক তেল তেলে হয়ে যায়। কপাল, নাক এবং চিবুক খুশকি শুষ্ক, ফ্ল্যাকি ছোপ তৈরি করতে পারে। যা ত্বকের অসম গঠন এবং নিস্তেজ বর্ণকে সামনে আনে।
২. লালভাব ও জ্বালা
খুশকির কারণে মুখের ত্বকে লালভাব এবং জ্বালা হতে পারে। খুশকির কারণে ক্রমাগত চুলকানি এবং ঘামাচি ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এটিকে জ্বালা এবং সংবেদনশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলে। খুশকি হতে পারে ভ্রু এবং চুলের রেখা বরাবর।
৩. ব্রণ
খুশকির কারণে মুখে গোটা দেখা দিতে পারে। এটি ম্যালাসেজিয়া নামে পরিচিত। মুখকে তেলতেলে করে দেয়। ম্যালাসেজিয়া মুখের ত্বকে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়, তখন এটি ব্রণ ব্রেকআউটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি মুখের ত্বককে তেলাভাব বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়।
৪.সংবেদনশীল ত্বক
খুশকি ত্বকের কার্যক্রমকে থামিয়ে দেয়। খুশকির কারণে মুখেও চুলকানি ও ঘামাচির মত সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালার্জেন এবং মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণের জন্য সংবেদনশীল করে তোলে। খুশকি যাদের বেশি হয় তাদের মুখের ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যা ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
৫. আত্মবিশ্বাস কমে
মুখে খুশকির সমস্যা মোবাকিলা করা খুবই কঠিন। এটি যে কোনও মানুষের সুস্থতার ও আত্মস্মমানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। দৃশ্যমান ফ্লেক্স, লালভাব এবং জ্বালার মত সমস্যাগুলি দেখা দেয়। যার কারণে মানুষ অনেক সময়ই অতিষ্ট হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলে। অনেকেই মেকআপের মাধ্যমে এগুলি লুকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু অনেক সময়ই তা পারে না। যার প্রভাব পড়ে আত্মবিশ্বাসের ওপর।