শীতের শুরুতে শুষ্ক-রুক্ষ্ম ত্বক হয়ে উঠবে চকচকে, তরতাজা! সহজ কয়েক টিপস মেনে চলুন

অনেকেই আমরা নিত্যু নতুন বাজার চলতি ক্রিম ব্যবহার করতে শুরু করি, যার ফল বিশেষ ভালো হয় না। বাড়িতে থাকা এমন কিছু পণ্য ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ যা ত্বককে উজ্জ্বল দেখায়। রইল টিপস।

Parna Sengupta | Published : Nov 5, 2023 12:20 PM IST

শীত এলেই ত্বক হয়ে উঠতে শুরু করে শুষ্ক ও প্রাণহীন। বিশেষ করে মহিলাদের এ নিয়ে বেশি সমস্যা হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই আমরা নিত্যু নতুন বাজার চলতি ক্রিম ব্যবহার করতে শুরু করি, যার ফল বিশেষ ভালো হয় না। বাড়িতে থাকা এমন কিছু পণ্য ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ যা ত্বককে উজ্জ্বল দেখায়। রইল টিপস।

ভিটামিন ই সহ ময়েশ্চারাইজার

ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক এড়াতে ভিটামিন ই যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। দিনে দুই থেকে তিনবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগান।

হালকা স্ক্রাব

আমরা দেখি শীতে মুখে মরা চামড়াও জমতে শুরু করে, তা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে তিনবার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করুন, এতে মরা চামড়া উঠে যাবে এবং মুখ সুস্থ থাকবে।

নারকেল তেল

নারকেল তেলকে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আপনি এটি স্নানের পরে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এ জন্য স্নানের এক ঘণ্টা আগে ত্বকে নারকেল তেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে স্নান করলে ত্বক শুষ্ক হবে না।

হালকা গরম জল দিয়ে স্নান

এই মৌসুমে স্নানের জন্য গরম জল ব্যবহার করবেন না, এতে ত্বকের আর্দ্রতা আরও কমে যায়, শুধুমাত্র ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে স্নান করুন, মুখ ধোয়ার জন্য গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন না, বরং হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

মধু ব্যবহার

মধু ত্বকে দীর্ঘ সময় আর্দ্রতা প্রদান করে। এটি মুখ থেকে মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে দুই-তিনবার ব্যবহার করা উচিত।

দুধ ব্যবহার করুন

মুখ শুষ্ক হয়ে গেলে এর জন্য দুধ ব্যবহার করুন। পুরো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন এবং তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এছাড়াও মুখে দুধ লাগিয়ে রাতে ঘুমাতে পারেন।

প্রচুর জল পান করা

শীতকালে আমরা প্রায়শই জল পান কম করি, এতে আমাদের ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে এবং এটি শুষ্ক হতে শুরু করে। তাই জল পান কম করবেন না, বরং দিনে আট থেকে দশ গ্লাস জল পান করুন, শীতকালে হালকা গরম জল পান করা উপকারী।

গ্লিসারিন ব্যবহার করুন

গ্লিসারিন আমাদের ত্বকের বাইরের স্তরকে হাইড্রেট করে এবং এটিকে জ্বালা থেকে রক্ষা করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময়েও সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক যৌগ, যা উদ্ভিজ্জ তেল এবং পশু চর্বি পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন না।

বাদাম তেল

বাদাম তেল একটি প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট, যা আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!