তাহলে রসুন দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার রেসিপি জেনে নিন। রসুনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুলকে লম্বা, ঘন ও মজবুত করতে উপকারী।
আজকের দ্রুত জীবনযাত্রায়, প্রত্যেকেই, সে পুরুষ হোক বা মহিলা, চুল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকে। কেউ চুল ঝরাচ্ছে আবার কেউবা অল্প বয়সে পাকা চুল নিয়ে চিন্তিত। চুল সম্পর্কিত সমস্যার জন্য বাজারে একাধিক চিকিত্সা পাওয়া যায়, কিছু বিকল্প ব্যয়বহুল এবং কিছু বিকল্প ক্ষতিকারক কারণ এতে রাসায়নিক থাকে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে চান। অথবা আপনি যদি চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান, তাহলে রসুন দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার রেসিপি জেনে নিন। রসুনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুলকে লম্বা, ঘন ও মজবুত করতে উপকারী।
রসুনের রসের উপকারিতা-
১) চুল মজবুত করে-
চুলে রসুনের রস ব্যবহার খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এটি চুলকে নমনীয় করার পাশাপাশি মজবুত করতেও উপকারী বলে মনে করা হয়। রসুনের রসে সেলেনিয়াম এবং সালফার পাওয়া যায় যা চুলের মজবুতির জন্য দায়ী।
২) চুল পড়া রোধ করে-
অতিরিক্ত চুল পড়ায় কষ্ট পেলেও রসুনের রস চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুল পড়া থেকে মুক্তি মিলবে। রসুনের রসে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা চুল পড়া রোধে খুবই উপকারী।
৩) খুশকি দূর করুন-
খুশকির সমস্যায় রসুনের রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এটি চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে জমে থাকা খুশকি ও চুল দূর হয় এবং চুলকানির সমস্যাও চলে যায়।
৪) ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন -
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি শুধু ত্বকেরই ক্ষতি করে না বরং এর ফলে চুলের প্রাকৃতিক কেরাটিন প্রোটিনও ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়, যার ফলে চুল বার্ধক্য হয়। এমন পরিস্থিতিতে চুলের যত্নে রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলকে রক্ষা করে এবং চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৫) চুলের বৃদ্ধি-
রসুনে এমন অনেক ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায় যা চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। চুলে রসুনের রস লাগালে চুলের দৈর্ঘ্য দ্রুত বাড়বে। চুলের বৃদ্ধির জন্যও এটি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
৬) রসুনের রস কীভাবে তৈরি করবেন-
রসুনের রস তৈরি করতে, রসুনের কয়েকটি লবঙ্গ নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে রস তৈরি করুন। এবার এই রসে এক চামচ নারকেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের পাশাপাশি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। কিছু দিনের মধ্যেই আপনি এটি ব্যবহার করার পরে পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।