টোনার আমাদের স্কিন কেয়ার রুটিনে ক্লেনজিংয়ের পরের স্টেপে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি টোনার স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স করে, আমাদের পোরসগুলো ক্লিন করে এবং স্কিন কেয়ারের নেক্সট স্টেপের জন্য স্কিনকে প্রিপেয়ার করে।
সবাই চায় তার ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হোক। কিন্তু অনেক সময় মুখে অনেক দাগ ও পিম্পল বেরিয়ে আসে। ত্বকে কোন আঁটসাঁট ভাব নেই। এটি আপনার ত্বককে তার বয়সের চেয়ে পুরানো দেখায়। মুখে কোন দীপ্তি থাকে না। আপনিও যদি এই সমস্ত সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তবে আপনার এই হলুদ টোনারটি একবার ব্যবহার করা উচিত। এই টোনার আপনার ত্বককে সুস্থ করে তোলে।
ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার বহু দিনের। ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্রণ দূর করতে কিংবা যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই হলুদ ব্যবহার করে থাকেন। হলুদ দিয়ে প্যাক তৈরি করেন অধিকাংশই। এবার ত্বকের যত্ন ব্যবহার করুন হলুদের তৈরি টোনার।
টোনার আমাদের স্কিন কেয়ার রুটিনে ক্লেনজিংয়ের পরের স্টেপে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি টোনার স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স করে, আমাদের পোরসগুলো ক্লিন করে এবং স্কিন কেয়ারের নেক্সট স্টেপের জন্য স্কিনকে প্রিপেয়ার করে।
টোনার জন্য উপাদান
কাঁচা হলুদের রস - ৪ চা চামচ
অ্যালোভেরা জেল - ৫ চা চামচ
গোলাপ জল - ২ চা চামচ
সবুজ চা জল - ৬ চা চামচ
লেবুর রস - ২ চা চামচ
হলুদের টোনার কীভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে একটি পাত্রে আধ গ্লাস জল গরম করুন
এবার এতে গ্রিন টি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
এই জল প্রায় ৬ চামচ থেকে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঠাণ্ডা হতে দিন।
ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এই জল ফিল্টার করুন
এবার একটি পরিষ্কার কাচের স্প্রে বোতল নিন
এবার এতে কাঁচা হলুদের রস, অ্যালোভেরা জেল, গোলাপ জল, গ্রিন টি এবং লেবুর রস যোগ করুন।
এবার এই বোতলটি ভালো করে মিশিয়ে নিন
হলুদ টোনার কিভাবে ব্যবহার করবেন
হলুদ টোনার ব্যবহার করার আগে আপনার মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
তারপর এই টোনারটি আপনার মুখে স্প্রে করুন।
এবার হালকা হাতে মুখে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
তারপর সাধারণ জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন
তারপর ত্বক অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগান।
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় হলুদ টোনার ব্যবহার করুন।
কিছু দিনের মধ্যেই আপনি আপনার চেহারায় পার্থক্য অনুভব করবেন।
সর্বদা মনে রাখবেন এই টোনারটি একবারে ১৫ দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না।
এছাড়াও প্লাস্টিকের বোতলে রাখবেন না।