যেহেতু এটা রঙের উৎসব এবং শুকনো আবিরের পরেও বাকি থাকে জলের ছটা, সেসব দিক মাথায় রেখেই বেছে নিন সঠিক অন্তর্বাস।
বাঙালির প্রিয় বসন্ত উৎসব একেবারে দোরগোড়ায়। জোরকদমে চলছে সাজ এবং ছবি তোলার প্রস্তুতি।
কিন্তু, শুকনো আবির মেখেই কি ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ শেষ?
লাল গুলালের পরেও বাকি থেকে যায় ‘বালাম পিচকারি’। যা আপাদমস্তক ভিজিয়ে একশা করে দেবে পরনের জামাকাপড়।
তারপরেই আসন্ন অন্তর্বাসের প্রস্ফুটন। তাই, এইবেলা ভেবেচিন্তে তৈরি হোন।
রং খেলার দিনে জামাকাপড়ের অন্দরের প্রস্তুতি কেমন হবে?
স্টাইলিস্টরা বলছেন, যদি আপনি সাদা জামা পরেন, তাহলে ভেতরে সাদা অন্তর্বাস পরাটা যথেষ্ট বিপদসংকুল।
জামাকাপড় রঙের দাগে ভিজে উঠলে স্পষ্ট হয়ে উঠবে ভেতরের অধোবস্ত্র।
তাই, চেষ্টা করতে পারেন, ন্যুড শেডের ব্রা বা প্যান্টি পরার। এতে শরীরের রঙের সঙ্গেই মিশে যাবে অন্তর্বাসের রং।
তবে, যেহেতু এটা হোলি, তাই আপনি সাহস করে রঙিন অন্তর্বাস পরে রঙের দিনে একটু বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেই পারেন।
প্যাডেড ব্রা ছাড়া জলকেলির দিনে অন্য কোনও অপশন ভাববেনই না।
তবে, বুকের ওপর বোঝা চাপাতে না চাইলে চেষ্টা করুন হালকা প্যাডেড পরার।
দোলের সময় সিমলেস ব্রা এবং সিমলেস প্যান্টি পরুন, এতে আপনার জামা ভিজে গেলেও ব্রা বা প্যান্টির লাইন ফুটে উঠবে না।
ভেজা সিন্থেটিক অন্তর্বাস আপনার ত্বককে একেবারেই আরাম দেবে না।
সুতির অন্তর্বাস পরুন এবং সম্ভব হলে পুরনো। যা আরামও দেবে, আবার দাগ লাগলে আপনার মন খারাপও হবে না।
যদি ব্রা পরেও জামা ভিজে যাওয়া নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা থাকে, তাহলে অবশ্যই পরুন হালকা ক্যামিসোল।
জামার অন্দরে সাহস করে পরে ফেলতে পারেন কারুকাজ করা ব্রালেট-ও।