বাদাম খেয়ে খোসা ফেলে দিচ্ছেন? এর উপকারিতা জানলে এই কাজ আর ভুলেও করবেন না

শুধু বাদাম নয়, বাদামের খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদামের খোসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু কীভাবে এই খোসা ব্যবহার করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক বাদামের খোসার ব্যবহার এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।
 

deblina dey | Published : Sep 28, 2024 1:11 PM IST

15

যারা সুস্থ জীবনযাপন করতে চান তারা প্রায় সকলেই নিয়মিত বাদাম খেয়ে থাকেন। রাতে বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয়। বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। তবে শুধু বাদাম নয়, বাদামের খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদামের খোসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু কীভাবে এই খোসা ব্যবহার করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক বাদামের খোসার ব্যবহার এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।

25

বাদামের খোসার উপকারিতা..
বাদামের খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই বলে সরাসরি খোসা খাওয়া যাবে না। বাদামের সাথেও খোসা খাওয়া উচিত নয়। খোসা ছাড়িয়ে তিসি বীজ অথবা তরমুজ বীজের সঙ্গে পেস্ট করে নিন। এরপর হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, বাদামের খোসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

শুধু বাদাম নয়, বাদামের খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এটি আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী। বাদামের খোসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন হেয়ার মাস্ক। এই মাস্ক ব্যবহারে চুল হবে মজবুত এবং উজ্জ্বল। বাদামের খোসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। এটি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে পুষ্টি এবং আর্দ্রতা যোগাবে।

35

অনেক সময় আমাদের ত্বকে সংক্রমণ এবং এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। বাদামের খোসা ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ত্বকে সংক্রমণ হলে খোসা পেস্ট করে সংক্রামিত স্থানে লাগান। এতে আরাম পাবেন। খোসাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন।

45

এবার জেনে নেওয়া যাক ভেজানো বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে...

নিয়মিত বাদাম খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। ভেজানো বাদাম সহজেই হজম হয়। এটি ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায় যা খনিজ শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। ভেজানো বাদাম আমাদের হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতিদিন ৩-৪টি বাদাম খাওয়া উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ভেজানো বাদামে এনজাইম সক্রিয় করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের মতো পুষ্টি সরবরাহ করে। ভেজানো বাদাম খাওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটি নরম হয়। ভেজানো বাদাম খেতেও বেশি সুস্বাদু। ভেজানোর ফলে এটি চিবিয়ে খাওয়া সহজ হয়।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন রয়েছে। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ শূন্য। তাই এটি আপনার হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী।

55

বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে আপনি অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কম, তাদের নিয়মিত বাদাম খাওয়া উচিত। কারণ বাদামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। নিয়মিত বাদাম খেলে দুই সপ্তাহের মধ্যেই আপনার শরীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। 

নিয়মিত বাদাম খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, এটি আপনার শিশুদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। তাই শিশুদের নিয়মিত ভেজানো বাদাম খাওয়ানো উচিত। বাদাম মস্তিষ্কের কোষগুলোকে মেরামত করে। এছাড়াও, এটি আইকিউ লেভেল বৃদ্ধি করে। বাদাম মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখে। বাদাম আমাদের হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। বাদাম আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos