উচ্চ-ফাইবার খাদ্যের পাঁচটি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। গবেষকরা বলছেন এজাতীয় খাবার খেলে অনেক সমস্যারই সমআধান হয়।
চিবানো বা গিলে ফেলার পর পেট ঠিক সেই সময় থেকেই খাবারটি প্রক্রিয়া করতে শুরু করে। ফাইবার ছাড়া খাবার খাওয়ার ৪৫ মিটিন পরেই আপনি ব্লাড সুগার রোলার কোস্টার প্রভাব অনুভব করবে। এই উত্থান ও পতন এড়ানোর সঠিক চাবিকাঠি হল একটি উচ্চ ফাইবার জাতীয় খাবার নিয়মিত পাতে রাখা। এই প্রক্রিয়াটি অনেক ধীর হয়। একটি খাবারের ফাইবার থেকে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি রোধ করে ও খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার পূর্ণতার অনুভূতি বাড়ায়। ফাইবারের অনেক সুবিধার মধ্যে হল এটি পূর্ণতার অনুভূতি।
এখানে উচ্চ-ফাইবার খাদ্যের পাঁচটি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে-
স্বাস্থ্যকর ওজন হ্রাস
খাদ্যতালিকায় ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি আপনার ওজন কমানোর যাত্রা শুরু করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে দ্রুত পুরণ করে। দীর্ঘ সময় খিদে পায় না। দ্যা জার্নাল অব নিউট্রিশন অনুসারে ফাইবার যুক্ত ডায়েট দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাথে
ফাইবারের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হার্টের জন্যও উপকারী, একটি শক্তিশালী, সুস্থ হার্ট বজায় রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাকের পরে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে উভয়ই উপকারী।
ফাইবার ঘুম বাড়ায়
স্লো - ওভেস ঘুমের উপর বেশ কিছু খাবারের প্রভাব রয়েছে। যা প্রায়ই গভীর ঘুম নামে পরিচিত। সম্প্রতি জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল স্লিপ মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে প্রস্তাবিত ডায়েট খাওয়া, যার মধ্যে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার রয়েছে যার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনি কম রয়েছে সেই খারাব ঘুমের উপযোগী। গবেষণা অংশগ্রহণকারীদের গভীর এবং দীর্ঘ ঘুমাতে সহায়তা করে।
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
হার্ভার্ডের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুসারে একজন মহিলার স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১৩ শতাংশ কমে যায় যখন তার খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত ১০ গ্রাম ফাইবার থাকে। কিশোরী ও তরুণীদের প্রতিদিন প্রয়োজনী ফাইবার জাতীয় খাদ্য ডায়েটে রাখা জরুরি।
মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়েটে যদি পরিমিত ফাইবার থাকে তাহলে তা কষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পরিপূরকগুলি স্টুল বাল্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
গবেষকদের কথায় প্রতিদিন ডায়েটে পরিমিত ফাইবার জাতীয় খাবার রাখা জরুরি। তবে কার কতটা পরিমাণ খাবার দরকার তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।