দোলযাত্রার দিনে নিজেই বাড়িতে তৈরি করুন মিষ্টি। তাক লাগিয়ে দিল পরিবারের সদস্যদের। এবার দোলে বা হোলিতে পরিবারের সদস্যদের চকমে দিন ঠান্ডাই কুলপি পরিবেশন করে।
বসন্ত উৎসব মানেই যে শুধু রঙ খেলা নয়! দোলযাত্রা হা হোলি খেলা মানেই সঙ্গে থাকে মিষ্টিমুখ। এই দিনটি বাঙালি কি অবাঙালি - সকলেই এই দিনটিতে কমবেশি মুষ্টি খেয়ে থাকেন। তবে এবার দোলযাত্রার দিনে নিজেই বাড়িতে তৈরি করুন মিষ্টি। তাক লাগিয়ে দিল পরিবারের সদস্যদের। এবার দোলে বা হোলিতে পরিবারের সদস্যদের চকমে দিন ঠান্ডাই কুলপি পরিবেশন করে।
ঠান্ডাই কুলপি তৈরির উপকরণঃ
কাঠবাদাম- দেড় কাপ
কাজুবাদাম- দেড় কাপ
পেস্তা- দেড় কাপ
গোটা গোলমরিচ-২৫টি
এলাচের দানা- ১০টি
পোস্ত-২ টেবিল চামচ
মৌরি-২ টেবিল চামচ
জাফরান-দুই চিমটি
গোলাপের শুকনো পাপড়ি- ৪ টেবিল চামচ
জায়ফল গুঁড়ো-১ চা চামচ
ঘন দুধ- ২ কাপ
গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো- ৩-৪ টেবিল চামচ
দুধ- ২ লিটার
চিনি -২৫০ গ্রাম
প্রাণালী-
সবরকম শুকনো উপকরণগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর মিক্সিতে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। গোবিন্দভোগ চাল আলাদা করে রাখুন। সেটা গুঁড়ো করে নিন। এবার সেই মশলা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন করে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই মিশ্রণটি একটি পাত্রে রেখে গ্যাসের ওভেনে বসান। মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন। যতগুলি কুলপি বাঁনাতে চান ততগ্লাস দুধ নেবেন। সেই দুধ মিশ্রণে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পরে তারপরই তিন টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। দুধ আর গাঢ় হয়ে এলে টেবিল চামচ ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ আর স্বাদ মত চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। তারপর গ্যাস বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে কুলপির পাত্রে ঢেলে গোলাপের পাতা সাজিয়ে দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। জমতে পাঁচ ঘণ্টার মত সময় লাগে। আর আপনি যদি ঠান্ডাইর সরবত তৈরি করতে চান, তাহলে আর চালের গুঁড়ো মেশাবেন না। যে মিশ্রণটি তৈরি করেছেন সেটি দুখে মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঠান্ডাইয়ের সরবত।