শীতের সেরা ১০টি ব্রেকফাস্ট আইডিয়া, যাদের নাম শুনলেই আপনার জিভে জল আসবে
শীতের মরসুমে খাওয়া-দাওয়ার মজাই আলাদা। তাই আপনি যদি রোজ একই খাবার দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারেন, তবে আপনার কাছে বেশ কয়েকটা অপশন রয়েছেন মুখের স্বাদ বদলের। দ্রুত তৈরি করা যায় এই খাবারগুলি, যা খেলে সারা দিনই মন মেজাজ থাকবে ফুরফুরে।
শীতকালের সকালে পোহা বা চিঁড়ের পোলাও একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট। এতে বাদাম, ছোলা, হালকা সবজি যোগ করতে পারেন আপনার পছন্দমত। বিশেষ করে নারকেল যোগ করতে পারেন এতে।
সুজি থেকে তৈরি উপমা আরেকটি জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট অপশন হতে পারে, যাতে শীতকালীন নানা শাকসবজি এবং মশলা যোগ করতে পারেন।
ইডলি সাম্বারও একটি স্বাস্থ্যকর এবং হালকা ব্রেকফাস্ট। ফিগার সচেতন নিউ জেনারেশনের কাছে তো এখন ইডলি, ধোসার ডিমান্ড বেশ উপরের দিকেই। শুধু স্বাদে মন ভোলানো নয়, স্বাস্থ্য রক্ষাতেও এর জুড়ি মেলা ভার ৷
ডালিয়া হল আরেকটি স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ, যাতে গম বা বার্লি সুজি থাকে। ডালিয়ার মধ্যে রয়েছে ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো উপকারী উপাদান। ফলে ওজন কমানোর পাশাপাশি ডালিয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও দারুণ উপকারী।
চিলা মুগ ডাল বা বেসন থেকে তৈরি করা যেতে পারে, এটি একটি ভাল প্রোটিনের উত্স। ছোলার ময়দা, শাকসবজি এবং মশলা দিয়ে প্রস্তুত, এই চিলা প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং চাটনি বা দইয়ের সাথে এটি খাওয়া যেতে পারে।
শীতের আমেজে গরম গরম স্যুপ খাওয়ার মজাই আলাদা। এমনিতেই এই সময় বাজর ভরা থাকে নানা ধরনের মরশুমি সবজিতে। আর সেই সব সবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খাওয়ার রয়েছে নানা উপকারিতা। গরম স্যুপ এবং স্যান্ডউইচও শীতের জন্য ভাল বিকল্প।
ওজন বেশি হলে ডায়েটে ওটস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য এটি স্বাস্থ্যকর খাবার। ওটসে রয়েছে বিটা গ্লুকান, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। শরীরে এনার্জির জোগান দেয়। এতে বেশি খিদে পায় না। হজমশক্তি ভাল থাকে। ফাইবার থাকায় দীর্ঘসময় পেট ভরাট থাকে। অনেকক্ষণ খাওয়ার খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না।
হলুদ দুধের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। যা কিনা আমাদের দৈনন্দিন একাধিক রোগ দূর করতে পারে। হলুদের দুধ শীতকালে গরম পানীয়ের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প, যাতে হলুদের গুণাগুণ রয়েছে।
ফল এবং বাদাম স্যালাড একটি স্বাস্থ্যকর এবং সতেজ শীতকালীন ব্রেকফাস্ট, যা ফল এবং বাদাম একত্রিত করে তৈরি করা যেতে পারে।