এই নেশা বা অসক্তি ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে আমাদের শরীর মন থেকে শুকু করে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক। একটানা এই মোবাইলের ব্যবহার একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে অসুস্থ করতে পারে। যেমন-
যত দিন যাচ্ছে আমরা ক্রমশ গ্যাজেটেস-এর উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। পাশাপাশি কাজের ফাঁকে বা অবসর সময়ে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে একটু বসতে না বসতেই কেটে যায় অনেকটা সময়। স্মার্টফোনের এই আসক্তির বিষয় এখন পরিবার ও সামাজিক পরিসব়ে। এমনকী কর্মক্ষেত্রেও এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা দেওয়ার সময়েও সবাই যে যার স্মার্টফোনেই বেশি ব্যস্ত। এই নেশা বা অসক্তি ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে আমাদের শরীর মন থেকে শুকু করে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক। একটানা এই মোবাইলের ব্যবহার একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে অসুস্থ করতে পারে। যেমন-
দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইলের সঙ্গে কাটালে ঘাড়, মাথা, পিঠ ও কোমড়ে ব্যথা ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। পর পাশপাশি অন্ধকার ঘরে যখন আণরা মোবাইল দেখি তখন চোখের উপর যে প্রভাব পড়ে এর ফলে চিরজীবনের মত অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সম্ভাবনা থাকে।
দিনে তিন থেকে চার ঘন্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। আর যারা বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপ বা মনিটরের সামনে থাকেন তাদের রাতের সময় একেবারেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।
এছাড়া শুয়ে শুয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হাত অবশ হওয়া বা বারে বারে হাতে ঝিঁঝিঁ ধরা বা বাতের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অতিরিক্ত মোবাইলফোনের ব্যবহার অস্টিওআর্থারাইটসের ঝুঁকি বাড়ায়। তরুণদের মধ্যে প্রথমে কার্পোমেটাকারপাল জয়েন্টের অস্টিওআর্থারাইটিস হতে দেখা যায়। একটা সময় এই রোগ শুরুমাত্র বৃদ্ধদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।