এই কয়েকটি খাবার খেলে শরীরে দ্রুত বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ, সতর্ক থাকুন

যদি বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা না কমানো হয়, তবে এটি স্ফটিকের আকার নিতে শুরু করে এবং জয়েন্টগুলির চারপাশে মারাত্মকভাবে তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে।

Web Desk - ANB | Published : May 2, 2023 1:34 PM IST

ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা এবং কারণ আজকাল শুধু বয়স্করাই নয়, তরুণরাও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার মুখোমুখি হন। এ কারণে জয়েন্টে ব্যথা, কিডনির সমস্যা বা অন্যান্য সমস্যা লেগেই থাকে। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে পিউরিন আকারে থাকে এবং তা কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় ইউরিক এসিড শরীর থেকে বের হতে পারে না এবং এর মাত্রা বাড়তে থাকে। যদি বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা না কমানো হয়, তবে এটি স্ফটিকের আকার নিতে শুরু করে এবং জয়েন্টগুলির চারপাশে মারাত্মকভাবে তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে।

এর ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় আর্থ্রাইটিস। আপনি খাবারের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। জেনে নিন কোন জিনিসগুলো না খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিক পিউরিন শুধু শরীরেই নয়, কিছু খাদ্যদ্রব্যেও পাওয়া যায়। এছাড়া ফ্রুক্টোজের কথা মাথায় রেখে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এটি একটি প্রাকৃতিক চিনি হিসাবে বিবেচিত হয় যা শাকসবজি এবং ফলগুলিতে উপস্থিত থাকে। এর পরিমাণ বেশি হলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা খারাপ হতে শুরু করে।

ফল এবং শুকনো ফল

এমন ফল বা শুকনো ফল খাবেন না যা শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে। আঙ্গুর এবং কিশমিশের মতো জিনিসগুলিতে পিউরিন বেশি থাকে, তাই এগুলি এড়ানো উচিত।

তেঁতুল

যারা টক খুব পছন্দ করেন, তাদের এই অভ্যাস বদলানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। তেঁতুল সুস্বাদু হতে পারে তবে এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের স্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে। গোল গপ্পা বা চাটের মতো জিনিস কম খান কারণ এতে তেঁতুলের চাটনি যোগ করা হয়।

মাংস থেকে ইউরিক অ্যাসিড

মাংস বা মুরগির মাংসেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি ও লিভারের মতো প্রাণীর অঙ্গ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলোতেও পিউরিনের মাত্রা বেশি থাকে এবং এমন অবস্থায় আপনি ইউরিক অ্যাসিডের রোগী হতে পারেন।

সামুদ্রিক খাবার

টুনা, শেলফিশের মতো অনেক সামুদ্রিক খাবারে পিউরিন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এগুলো থেকে তৈরি জিনিস খেতে সুস্বাদু মনে হলেও এগুলো খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকার হতে পারে। যাদের বাত বা জয়েন্টে ব্যথা আছে তাদের সামুদ্রিক খাবার বা লাল মাংস থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।

Share this article
click me!