সময় মতো ক্যান্সারের লক্ষণ চিনতে একটু কষ্ট হয়। সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে রয়েছে 'ব্লাড ক্যান্সার', যা লিউকেমিয়া নামেও পরিচিত।
ক্যান্সার এমন একটি মারণ রোগ, যার লক্ষণ তখনই দেখা যায় যখন এই রোগটি শরীরে প্রায় সম্পূর্ণভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পা চাপা দিয়ে সব ধরনের ক্যান্সার শরীরে প্রবেশ করে। এই কারণেই সময় মতো ক্যান্সারের লক্ষণ চিনতে একটু কষ্ট হয়। সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে রয়েছে 'ব্লাড ক্যান্সার', যা লিউকেমিয়া নামেও পরিচিত।
ব্লাড ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা রক্তের কোষের উৎপাদন ও কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এই রোগটিকে বিপজ্জনক হিসাবে মনে করা হয় কারণ এর লক্ষণগুলি শরীরে খুব দেরিতে প্রকাশ পায়। এই রোগ এড়াতে আপনার ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কী কী?
১) ক্ষুধা হ্রাস:
যদি ক্ষুধা হ্রাস এবং শরীরে দুর্বলতা অনুভব করেন তবে সতর্ক হওয়া উচিত। এই লক্ষণগুলিতে মনোযোগ দেওয়া শুরু করুন। আপনি যদি এই লক্ষণগুলি বেশি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান এবং পরীক্ষা করান।
২) সব সময় অসুস্থ হওয়া:
ক্রমাগত অসুস্থ হওয়া শরীরের দুর্বলতার লক্ষণ। আপনি যদি সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বারবার আপনার সঙ্গে এটি ঘটে, তবে সতর্ক থাকুন। কারণ এগুলো ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৩) দুর্বলতা এবং ক্লান্তি:
বিশ্রাম নেওয়া সত্ত্বেও সব সময় ক্লান্ত বোধ করা বা শরীরে দুর্বলতা থাকাও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অতএব, আপনি যদি এইরকম অনুভব করেন তবে ডাক্তারের দ্বারা আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
৪) শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা:
আপনি যদি জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, পেটে ব্যথার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এটিকে একেবারেই উপেক্ষা করবেন না, কারণ এটি ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে।
৫) শরীরে রক্তের অভাব ও সংক্রমণ:
ব্লাড ক্যান্সারে এই সমস্যা সবসময়ই দেখা যায়। শরীরে রক্তের অভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ব্লাড ক্যান্সারে রক্ত কণিকার সংখ্যা কমতে শুরু করে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে।
৬) লক্ষণের পরিবর্তন:
উপসর্গের পরিবর্তনও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আপনি যদি কয়েক দিন ধরে এবং তারপর কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন উপসর্গ অনুভব করেন বা যদি কোনও লক্ষণ বারবার ফিরে আসে তবে এই সমস্যাটিকে উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে আলোচনা করে পরামর্শ নিন।