বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে এবং এই সময়ে সংক্রামক রোগগুলি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…
শৈশব হল শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটিই তাদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। लगातार सर्दी, खोकला, ताप, अपचन ইত্যাদি সমস্যা শিশুদের মধ্যে দেখা যায় এবং এর প্রধান কারণ হল দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা। বাজারের রাসায়নিক ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া উপায় বেশি নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয়।
26
সুষম খাদ্য এবং প্রচুর জল
বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, শাকসবজি, ডাল, শস্য এবং দুধ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি থেকে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকী, কমলা, লেবু প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, বাচ্চাদের দিনে কমপক্ষে ৬-৮ গ্লাস জল পান করতে দিন। জল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
36
ঘরোয়া ক্বাথ এবং হলুদ দুধ
সর্দি-কাশির জন্য কার্যকরী উপায় হল তুলসী, আদা, দারচিনি এবং কালো মরিচের ক্বাথ। এই ক্বাথ সপ্তাহে দুবার হালকা গরম করে খাওয়ালে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হলুদ দুধও একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়ালে শরীর শক্তিশালী থাকে।
আয়ুর্বেদে অনেকগুলি উপায় বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল চ্যবনপ্রাশ। চ্যবনপ্রাশে আমলকী, অশ্বগন্ধা, গুড়, ঘি ইত্যাদি ঔষধি গাছপালা থাকে যা শরীরের শক্তি বাড়ায়। এছাড়াও, গুড় শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
56
পর্যাপ্ত ঘুম এবং শারীরিক কসরত
বাচ্চাদের দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, কারণ ঘুম শরীরের পুনর্গঠন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এর সাথে সাথে প্রতিদিন খেলাধুলা, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো বা যোগব্যায়ামের মতো শারীরিক কসরত করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
66
পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস করানো উচিত, কাপড় সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত। এছাড়াও, পড়াশোনার চাপ না দিয়ে, বাচ্চাদের ইতিবাচক পরিবেশ, ভালবাসা এবং বোঝাপড়া তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা প্রকৃতপক্ষে শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও সহায়ক।
(দাবিত্যাগ: এই লেখাটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এ বিষয়ে Asianet News কোনও দাবি বা সমর্থন করে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)