শীতে নিজেকে ফিট রাখতে ডায়েটে কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আবার শীত মৌসুমে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত।
শীতের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। সোয়েটার চাদর ইতিমধ্যেই বেরিয়ে গেছে। এখন জাঁকিয়ে শীত পড়ার অপেক্ষা। এই সময় খাদ্য রসিক বাঙালির কাছেই শীতকাল মানে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। কিন্তু এই কবজি ডুবিয়ে খেতে গিয়ে এমন কিছু আমরা খেয়ে ফেলি, যা অজান্তেই শরীরে ক্ষতি করে। এই মৌসুমে রোগের আশঙ্কা থাকে। এই ঠান্ডা ঋতুতে ঠাণ্ডা জিনিস খাওয়া খুবই ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। কারণ এই মৌসুমে সর্দি ও ফ্লু খুব দ্রুত শরীরে আক্রমণ করে।
শরীর সুস্থ রাখতে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও একাধিক খনিজে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই মত মেনে আমরা সকলেই চেষ্টা করি খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে। সারাদিনে, মাছ, পনির, কলা- তো খেয়েই থাকি সকলে। এর সঙ্গে আছে ডিম। কিন্তু, জানেন কি, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে গিয়ে নিজের অজান্তেই ভুল করে থাকি আমরা।
এমন পরিস্থিতিতে শীতে নিজেকে ফিট রাখতে ডায়েটে কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আবার শীত মৌসুমে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা এখানে আপনাকে বলব যে শীত মৌসুমে কোন জিনিসগুলি খাওয়া উচিত নয়। করা উচিত?
শীতে খাবেন না এই জিনিসগুলো-
শীতের মরসুমে টিনের জুস বা সিন্থেটিক জুস, যা প্যাকেটজাত, তা খাবেন না। এটি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ টিনজাত ফ্রুট জুসে উচ্চমাত্রার চিনি থাকে।
এ কারণে আপনার শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই শীতের মৌসুমে প্যাকেটজাত জুস পান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দুগ্ধজাত পণ্য-
শীতকালে দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এটি সেবন করলে আপনার বুকে ইনফেকশন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। তাই শীতকালে দুগ্ধজাত খাবার যেমন শেক, স্মুদি জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। এ কারণে এগুলো খেলে কাশির সমস্যা হতে পারে।
রেড মিট বা খাসির মাংস
শীতকালে রেড মিট খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ রেড মিটে প্রোটিন বেশি থাকে, যার কারণে গলায় শ্লেষ্মা তৈরির ঝুঁকি থাকে। তাই শীতকালে রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
স্যালাড
ঠাণ্ডা সালাদ ও কাঁচা খাবার খেলে শীতে সর্দি-কাশির ঝুঁকি থাকে। তাই এই শীতের মরসুমে স্যালাড খাবারের প্লেট থেকে বাদ দেওয়া উচিত।