যাঁরা মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমাতে যান, তাঁদের আয়ু তো চোখে পড়ার মতো কমছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো রেডিয়েশন।
মোবাইলের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষের জীবন শেষ কর দিচ্ছে। পৃথিবীতে বাড়ছে মস্তিষ্কে ক্যানসারের মতো রোগের প্রকোপও। বিশেষত যাঁরা মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমাতে যান, তাঁদের আয়ু তো চোখে পড়ার মতো কমছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো রেডিয়েশন।
চীন ও আমেরিকার দুটি পৃথক গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন, মোবাইল ফোনের সার্বক্ষণিক সঙ্গ, বিশেষত রাত্রে ঘুমনোর সময়ে শরীরের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই অভ্যাস প্রাণঘাতীও হতে পারে।
মাথার কাছে মোবাইল ফোন রেখে ঘুমোলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
১.মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর রেডিয়েশন থাকে যা ক্রমাগত নির্গত হয়। এর প্রভাব মানুষের মস্তিস্কের জন্য ক্ষতিকর যেমন মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা এবং অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রোগ।
২.মোবাইল ফোনের বিকিরণ ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সাথে যুক্ত। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমের হরমোন নষ্ট করে। একে মেলাটোনিক বলে। এটি শরীরের ঘড়িতে ব্যাঘাত ঘটায়, যার ফলে ঘুমাতে অসুবিধা হয়।
ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কত দূরে রাখা উচিত?
মোবাইল ফোনকে বিছানা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে রাখলে বিপজ্জনক রেডিয়েশন এড়ানো যায়। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের শক্তি মোবাইল ফোনের সাথে যুক্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে যে ফোন থেকে নির্গত আরএফ রেডিয়েশন মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
আপনি যদি মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে রাতে ফোন সাইলেন্স করুন। অ্যালার্মের জন্য একটি ঘড়ি ব্যবহার করুন। এছাড়াও, ফোন ব্যবহার না করে একটি বই পড়া শুরু করুন। বই পড়া একটি ভালো অভ্যাস এবং এটি আপনাকে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।