ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণত আমের মত ফল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি থেকে অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত হয়।
আম পাকানো নিয়ে কড়া সতর্কতা ফুড সেফটি অ্য়ান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথারিটি অব ইন্ডিয়া বা FSSAI-র। আমের ছোট বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব রকম ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছে। বলেছে কৃত্রিমভাবে আম পাকানোর জন্য কেউ যাতে ক্ষতিকারক ক্যালসিয়ামের ব্যবহার না করে। পাশাপাশি FSSAI জানিয়েছে আম পাকানোর জন্য ক্ষতিকারক ক্যালসিয়ামের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা যে জারি করা রয়েছে তাও জানিয়েছে ফুড সেফটি সংস্থা।
ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণত আমের মত ফল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি থেকে অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত হয়। যাতে আর্সেনিক ও ফসফরাসের মত ক্ষতিকারক জিনিস থাকে। সম্প্রতি FSSAI কোয়েম্বাটুরের ফলের স্টল থেকে ৭২ হাজার টাকার ৫৭৫ কেজি আম বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই আমগুলি ইথিলিন স্যাচেট ব্যবহার করে পাকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে এগুলি মশলা নামে পরিচিত। এটি মাথা ঘোরা, ঘনঘন তৃষ্ণা , শরীরে জ্বালা, দুর্বলতা, গলার সমস্যা ও বমির কারণ হতে পারে। এগুলি থেকে অ্যালার্জিও বার হয়। অ্যাসিটিলিন গ্যাস শরীরের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞদের কথায় ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফলের সংস্পর্শে আসলেই আর্সেনিক ও ফসফরাস তৈরি করে যা শরীরের জন্য মারাত্মক।
FSSAI রাজ্যগুলির খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক থাকার, গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে বিপদের কথা বিবেচনা করে, ফল পাকার জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটির জন্য আইনও প্রনয়ণ করা হয়েছে। পাল্টা ফল পাকানোর জন্য FSSAI ইথিলিন গ্যাসের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ১০০ পিপিএম পর্যন্ত ঘণত্বের ইথিলিন গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে FSSAI। ইথিলিন, ফলের মধ্যে একটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া হরমোন, রাসায়নিক এবং জৈব রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপগুলি লক্ষ্য করা যায়।