গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের মধ্যে জমে থাকা দূষিত পদার্থগুলিকে বের করে দেয়।
গ্রিন টি-তে ইজিসিজি এবং ক্যাফেইনের মতো পদার্থ থাকার কারণে ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। এটি শরীরে নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে মিলিত হলে ডেহের চর্বি কোষগুলি ভেঙে ফেলতে এবং মেদ গলনের হার বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।
গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, এর দরুন আমাদের খিদে পায় কম। এর ফলেও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি করা চা, ক্যামোমাইল বা হিবিসকাস টি, শরীরের মেদ ঝরানোর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। হার্বাল চা শরীরকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখে।
গ্রিন টি-এ অনেকগুলি পুষ্টিগুনও রয়েছে, সেগুলি হল – ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়াম। এছাড়া, এই চায়ে পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-ও থাকে।
গ্রিন টি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। কোনও মানুষের টাইপ 2 ডায়াবেটিস থাকলে, এটি রক্তে শর্করা এবং HbA1c কমিয়ে দেয়। ফলে, মধুমেহ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি-তে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিক্যান্সার উপকারিতা থাকতে পারে। যা ত্বক স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য সহায়তা করতে পারে, তার পাশাপাশি এটি ত্বকের তারুণ্য় ধরে রাখে।
ঐতিহাসিক যুগ থেকে গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি খাবার হজমের জন্য শরীরকে সাহায্য করে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তবে, খাবার খাওয়ার ১ থেকে দেড় ঘণ্টা পরেই গ্রিন টি পান করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা একেবারে খালি পেটে এটি পান করা উচিত নয়।