শস্য ও বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী। বিশেষ করে এগুলো অঙ্কুরিত করে খেলে আপনি দ্বিগুণ স্বাস্থ্য উপকার পাবেন।
অঙ্কুরিত খাবারে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ দ্বিগুণ হয়। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যালও রয়েছে।
মুগ, ব্রাসেলস, রাগি ইত্যাদি অঙ্কুরিত করে খাওয়া যায়। এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের জলখাবারে অঙ্কুরিত খাবার খাওয়া খুবই ভালো।
কেউ কেউ এগুলো স্যালাড হিসেবেও খান। আবার কেউ কেউ সেদ্ধ করে চাটের মতোও খেয়ে থাকেন। তাই প্রতিদিন অঙ্কুরিত খাবার খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
অঙ্কুরিত খাবারের পুষ্টিগুণ
অঙ্কুরিত না হওয়া বীজ বা শস্যের তুলনায় অঙ্কুরিত হওয়ার পর এগুলোতে পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনি কি জানেন? অঙ্কুরিত খাবারে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফোলেট, ফসফরাস, প্রোটিন দ্বিগুণেরও বেশি থাকে।
উন্নত পাচনতন্ত্র
প্রতিদিন অঙ্কুরিত খাবার খেলে পাচন সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এগুলো খেলে আপনার শরীরের নানা রাসায়নিক বিক্রিয়ার পাশাপাশি পাচন প্রক্রিয়াও উন্নত হয়। অঙ্কুরিত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
বার্ধক্য প্রক্রিয়া
অঙ্কুরিত খাবার আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। এই অঙ্কুরিত খাবারে ফাইটোকেমিক্যালস, বায়োফ্লেভোনয়েডসের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। অর্থাৎ প্রতিদিন অঙ্কুরিত খাবার খেলে বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হয়। ফলে আপনার মুখে ত্বকে বলিরেখা, দাগ তাড়াতাড়ি পড়ে না।
ডিটক্সিফিকেশন
অঙ্কুরিত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোফিল থাকে। এটি রক্ত শুদ্ধ করতে খুবই কার্যকর। এছাড়াও এটি কোষীয় পর্যায়ে বিষমুক্তকরণ করে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ পরিশোধন ঘটে।
অঙ্কুরিত খাবারে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় আপনার রক্তাল্পতাও দূর হবে। শুধু তাই নয়, এতে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডও প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
ওজন কমে
অঙ্কুরিত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে এবং আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এছাড়াও এতে ক্যালোরিও খুব কম থাকে। তাই ওজন কমাতে অঙ্কুরিত খাবার অনেক সাহায্য করে। অঙ্কুরিত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে যায়।
কারা অঙ্কুরিত খাবার খাবেন না?
গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিদের কাঁচা অঙ্কুরিত খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি তাদের সহজে হজম হয় না। তাই এগুলো খেলে তারা বদহজমে ভোগেন। এছাড়াও তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল থাকে।
এটি খাবারের মাধ্যমে হওয়া রোগ বা খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এই ধরনের ব্যক্তিদের অঙ্কুরিত খাবার সেদ্ধ করে জিরা, গরম মশলা, হিংয়ের মতো মশলা মিশিয়ে খাওয়া উচিত।