Health Tips for Diabetic Patients: এই ভেষজ উপাদানগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখবে রক্তের শর্করা

Published : Jun 15, 2023, 09:38 PM IST
diabetic control

সংক্ষিপ্ত

এই ছটি ভেষজ উপাদানেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ডায়াবেটিশ রোগীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

সম্প্রতি ভারতে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই রোগ বড়ই সমস্যার। নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকরা সাধারণত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ আর ইনসুলিনের ওপরই ভরসা করেছ। তবে এগুলিতে প্রচুর পার্শ্বক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ এই পার্শ্বক্রিয়া এড়াতে ভেষজ উপাদানের ওপর ভরসা রাখতে পারতেন। কিন্তু মনে রাখবেন এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা কখনই নিজের থেকে কোনও ভেষজ উপাদান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রয়োজনে তাঁরা বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তারপরই এই ভেষজগুলির ব্যবহার করবেন।

মেষশৃঙ্গ গাছের পাতা বা জিমনেমা সিলভেস্ট্রে

এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিশে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। এটি মানুষের মিষ্টি খাবার লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এর এনজাইম-ইনহিবিটিং বৈশিষ্ট্য ফ্যাট স্টোরেজ কমায় এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

করলা বা উচ্ছে

করলার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। সপ্তাহে পাঁচবার করলার রস খেলে রক্তে গ্লুকজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এটি খালিপেটে খেতে হবে।

মেথি

রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এটি ডায়ারেটিশের একটি প্রতিকার। রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। ইনসুলিন নিঃসরণকে উৎসাহিত করে। রক্তে শর্করা কমাতে প্রতিদিন দুধ বা জলের সঙ্গে মেথি গুঁড়ো খেতেই পারেন।

দারুচিনি

গবেষণা অনুযায়ী দারুচিনি টাইপ ২ ডায়াবেটিশ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২ মিলিগ্রাম দারুচিনি খাওয়া যেতে পারে।

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভোরা

দীর্ঘদিন ধরে এটি ডায়াবেটিশ চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটিএকটি ঐতিহ্যবাহী ওষুধ। শরীরে চর্বির মাত্রা কমায়। গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। প্রতিদিন ২-৩ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা রস পান করতে পারেন।

ফাইবার

ডায়াবেটিশ আক্রান্ত রোগীদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। টাইপ ২ ডায়াবেটিশের ঝুঁকি কমায়। বার্লি খুব উপকারী। এককাপ বার্লিতে ৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

দস্তা

গবেষণায় দেখা গেছে জিঙ্ক টাইপ ১ ও ২ ডায়াবেটিশ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি গ্লাইসেমিক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল বাড়য়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, মোট কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল সবই ২৫ মিলিগ্রামের কম (মিলিগ্রাম) কম ডোজ জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টেশন থেকে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

ভ্যানডিয়াম

প্রাণী ও উদ্ভীত উভয় ভ্যানডিয়ামের ট্রেস পরিমাণে ধারণ করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভ্যানডিয়াম চিকিত্সার ফলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি হয়েছে। গবেষণার লক্ষ্য ছিল নিরাপদ ডোজ স্থাপন, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করা এবং শরীরে ভ্যানডিয়াম কীভাবে কাজ করে তা বোঝা।

PREV
click me!

Recommended Stories

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে? কমানোর সহজ উপায়গুলি দেখুন
পিরিয়ডের অতিরিক্ত যন্ত্রণা ও সংক্রমনের ঝুঁকি কমাতে পারে আপনার দৈনন্দিন জীবনের কিছু খাদ্যাভ্যাস বদল