একখিলি পান মুখে দেওয়ার অভ্যাস দীর্ঘদিনের। অনেকেই দাবি করেন ৭৫-৩০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই এই দেশে পানের প্রচলন হয়েছিল।
ভারতের সঙ্গে পানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রচলিত ছড়ায় পানের উল্লেখ পাওয়া যায়। তেমনই পুরাণ সহ একাধিক প্রাচীন গ্রন্থেও রয়েছে পানের উল্লেখ। সাধারণত ভারতীয়দের খাবার পরে একখিলি পান মুখে দেওয়ার অভ্যাস দীর্ঘদিনের। অনেকেই দাবি করেন ৭৫-৩০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই এই দেশে পানের প্রচলন হয়েছিল। পান ভারতের একটি ঐতিহ্যের মধ্যেও পড়ে। আয়ুর্দেবে পানের ব্যবহার রয়েছে। তবে পানে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
পান পাতা চিবানোর উপকারিতা
ডায়বেটিসের সঙ্গে লড়াই করে
পানের সঙ্গে যারা সুপারি খান তারা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। পান পাতা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য পান পাতা খুবই উপকারি। পাশাপাশি এটি ট্রেস কমাতে কার্যকর।
খারাপ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়াই
পান পাতা লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে পারে। রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা স্ট্রোক ও অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার জন্য দায়ী গয়। তাই পান পাতা খেলে এই সম্ভাবনা অনেকাই কমে।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ার
পান পাতায় ফাইটোকেমিক্যাল এবং ফেনোলের উপস্থিতি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। পান পাতার তেল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্টিকার্সিনোজেন
পান পাতায় উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যাল নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। আরও, পাতাগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি অ্যারে রয়েছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মুক্ত করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সারের বিকাশের প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে একটি।
ক্ষত নিরাময়
পান পাতা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
হাঁপানির প্রতিরোধক
পান পাতায় উপস্থিত রাসায়নিক হাঁপানির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। পান পাতার অ্যান্টি-হিস্টামিনিক রাসায়নিকের উপস্থিতি অসুস্থদের জন্য কার্যকর।
মুখের স্বাস্থ্য
পান মাউথফ্রেসনারের কাজ করে। পাশাপাশি মুখের ইনফেকশনেও পান পাতা চিবানো কার্যকর।
গ্যাসের সমস্যার সমাধান
গ্যাস অম্বলের রোগীরা খাওয়ার পরে পান পাতা চিবাতেই পারেন। তাতে হজম ভাল হয়। অ্যান্টি-আলসারোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আলসারের বৃদ্ধি রোধ করে।