
নানারকম খাবারে অ্যালার্জি শুধুমাত্র বড়দের নয়, শিশুদেরও হতে পারে। অনেক সময় বাবা-মায়েরা জানেন না তাদের বাচ্চাদের কিসের প্রতি অ্যালার্জি আছে, তাই তারা তাদের এমন জিনিস দেন যা তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু শিশুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। এই অ্যালার্জি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার কারণে হয়। যেসব শিশুর দুধ হজম করতে সমস্যা হয় তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিপূরক করতে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় আরও কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
মটরশুটি
দুধ ছাড়াও আপনি বাচ্চাদের ডাল যেমন রাজমা, ছানা খাওয়াতে পারেন, এই সমস্ত খাবারে ভাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি শিশুদের শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে। ১৭০ গ্রাম মটরশুটি ক্যালসিয়ামের দৈনিক মূল্যের ২০ শতাংশ ধারণ করে।
শাকসবজি
এটি ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচিত হয়। শিশুদের প্রতিদিন এক বাটি সবুজ শাক-সবজি খাওয়ালে তাদের ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। আপনি তাদের পালং শাক খাওয়াতে পারেন। এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
সয়াবিন
দুধের পর সয়াবিনকে ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি বাচ্চাদের এটি সেবন করতে পারেন। সয়াবিন খেলে শিশুদের শরীরে ভালো পরিমাণে আয়রন ও প্রোটিন পাওয়া যায়।
ব্রকলি
ব্রকলি স্যালাড খেলে শিশুরা ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাবে। এক কাপ কাঁচা ব্রকলিতে ৩৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। আপনি এটি শিশুদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
কাজুবাদাম
প্রতিদিন বাদাম খেলে বাচ্চাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে পারেন। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি, বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে। প্রতিদিন রাতে বাদাম ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খোসা ছাড়িয়ে বাচ্চাদের খাওয়ান।
ড্রাই ফ্রুটস
শিশুদের শুকনো ফল হিসেবে ডুমুর দিতে পারেন। এটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়। শুকনো ডুমুর নিয়মিত খেলে তাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ছোলা
ছোলা খাওয়া শিশুদের শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিপূরক সরবরাহ করতে পারে। ১০০ গ্রাম ছোলাতে ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, তাই আপনি বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।