অনেক মানুষ শীতকালে একটানা প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরে স্নান করেন না, কেউ কেউ আবার প্রত্যেকদিনই স্নান করেন। এই দুই ধরনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কেই সচেতন করেছেন গবেষকরা।
শীতের দাপটে সকলেই জবুথবু। স্নান তো দূরের কথা, ঠাণ্ডা জল খেতে গেলেও কেঁপে যায় শরীর। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যে প্রত্যেক দিন স্নান না করলে কি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে? প্রত্যেক দিন স্নান না করলে শরীরে অনেক রোগজীবাণু বাসা বাঁধে বলে মনে করেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে পুরোপুরি স্নান বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। তাই চেষ্টা করুন, এই সময়ে স্নানের নিয়ম বদলে ফেলার।
স্নান কি প্রত্যেক দিন করতেই হবে?
গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রত্যেক দিন স্নান না করলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধবে, এমন কথা মোটেও সত্যি নয়। শীতকালে যদি প্রত্যেক দিন স্নান না-ও করা হয়, তাতে শরীরের ওপর মারাত্মক কোনও প্রভাব পড়ে না। হজম প্রক্রিয়া বা শরীরের ভেতরকার সব ক্রিয়া ঠিকভাবেই চলবে। প্রয়োজন হলে কনকনে শীতে একদিন করে বাদ দিয়ে স্নান করতেই পারেন। তবে, সম্পূর্ণভাবে স্নান বাদ দেওয়া যাবে না।
অনেক মানুষ শীতকালে একটানা প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরে স্নান করেন না, সেটা শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর দরুন আপনার ত্বকে নানা ব্যাকটেরিয়া আংক্রমণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনি চাইলে সর্বোচ্চ দুইদিন স্নান ছাড়া থাকতে পারেন। এতে আপনার শরীরে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এই দুইদিন আপনি স্নান করার পরিবর্তে ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নিতে পারেন। এই অভ্যাস আপনাকে স্নান ছাড়াও পরিষ্কার থাকতে সাহায্য করবে।
গবেষকরা বলেন, শীত খুব বেশি পড়লে আপনি যদি সপ্তাহে তিন-চার দিন স্নান করেন, সেটাই যথেষ্ট। তবে চেষ্টা করবেন, স্নান না করলেও, হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে। এছাড়া, শীতে স্নানের সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। বেশি ঠান্ডা কিংবা গরম জল উভয়ই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
স্নানের সুবিধা কী?
নিয়মিত স্নান করলে ত্বকের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার থাকে, এর ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে, কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়।