বেশি তেল, চর্বিযুক্ত জিনিস, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা শুরু করা উচিত। স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার সবসময় খেতে হবে।
সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য আপনাকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। চলমান জীবনে যে ধরনের লাইফস্টাইল ও খাবার খাওয়া হয়, তাতে নিজেকে ফিট রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। বেশির ভাগ মানুষই কেনা খাবার খায়, যার কারণে অনেক রোগে তাদের আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি। তাই বেশি তেল, চর্বিযুক্ত জিনিস, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা শুরু করা উচিত। স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার সবসময় খেতে হবে।
৩০ এর পরে ফিট থাকার টিপস-
এখন যেহেতু খাবার এবং জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন, তাহলে প্রশ্ন হল, কীভাবে ফিট থাকবেন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যে খাবার খাই তার সঠিক পদ্ধতি রাখলে এবং ভুল না করলে আমরা কখনোই ফিট থাকতে পারবো না। যদি রাতের খাবারের পরে কিছু ভুল না করা হয়, তাহলে একজন ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সের পরেও ফিট এবং সুস্থ থাকতে পারেন ।
রাতের খাবার খাওয়ার পর এমন ভুল করবেন না
খাওয়ার সময় সঙ্গে মোবাইল রাখবেন না-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকাল বেশিরভাগ মানুষ রাতের খাবারের সময় বা পরে মোবাইল-টিভি দেখেন। এই পদ্ধতি মোটেও সঠিক নয়। এই কারণে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়তে পারে এবং রাতের ঘুমও খারাপ হতে পারে। তাই রাতে খাবার খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়।
খাওয়ার পাশাপাশি বিশ্রাম করবেন না
বেশিরভাগ মানুষেরই রাতের খাবারের পরপরই ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস থাকে। এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। এই কারণে খাবার হজম করতে এনজাইম বের হতে পারে না এবং নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাবেন না।
ধূমপান-অ্যালকোহল বর্জন
কারও কারও রাতের খাবারের পর মদ বা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই পদ্ধতিটিও খুবই ভুল। এই কারণে পেটে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসিড রিফ্লেক্স, হার্ট বার্ন, বদহজমের সমস্যা হতে পারে। কেউ দীর্ঘ সময় ধরে এটি করলে তার শরীর রোগের আবাসস্থল হয়ে উঠতে পারে।
হাঁটতে হবে-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি ফিট থাকতে চান, তাহলে রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটুন। একটু ক্লান্তিকর কাজ হলেও এটি আপনাকে আরামের ঘুম দেবে এবং আপনি ফিট থাকবেন।