শরীরে কোথাও ব্যথা হলেই মুঠো মুঠো পেনকিলার খাচ্ছেন! জানেন মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে?
ব্যথানাশক ওষুধের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে? কোন কোন ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়? বিস্তারিত জেনে নিন।
Parna Sengupta | Published : Nov 5, 2024 4:50 PM IST / Updated: Nov 05 2024, 10:21 PM IST
জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি হলে অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজে থেকে ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কি জানেন? এই পোস্টে তা নিয়ে আলোচনা করা হল।
মাঝারি বা তীব্র ব্যথার জন্য ব্যবহৃত ওপিওয়েড (Opioid) ওষুধ, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, পাকস্থলী, অন্ত্র সহ বিভিন্ন অঙ্গের স্নায়ুকোষের ওপিওয়েড রিসেপ্টরের সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্যথা সংকেতকে বাধা দেয়। ফলে ব্যথা কমে।
ওপিয়াম পপি নামক উদ্ভিদ থেকে এই ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি হওয়ায় এগুলি শরীরে নেশার প্রভাব ফেলে।এই ব্যথানাশক ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার করলে নেশায় আসক্ত হতে পারে।
ঘুম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট ও বিষণ্ণতার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে স্টেরয়েড-বিহীন প্রদাহরোধী ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই ওষুধ বেশি খেলে পেটের আলসার, কিডনির সমস্যা, পাকস্থলী ও অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
কখনও কখনও এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণও হতে পারে।তাই Ibuprofen, Naproxen, Diclofanac, Celecoxib, Mefenamic Acid, Etoricoxim, Indomethacin, Aspirin ইত্যাদি ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
এতে পেট ও অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলির মধ্যে একটি হল ভারত। দেশে ১৭০০ জনের জন্য একজন ডাক্তার থাকায় বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই স্ব-চিকিৎসা প্রচলিত।
কিন্তু জ্বর, মাথাব্যথা ইত্যাদি হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজে থেকে ওষুধ খাওয়া মারাত্মক ভুল। এতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কোনও শারীরিক সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।