একদল গবেষক গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা ব্রিটেনের বায়োব্য়াঙ্কের গবেষণা থেকে নেওয়া তথ্য বিচার আর বিশ্লেষণ করে এই তারা দাবি করেছে নুনের কারণে হচ্ছে ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস তাও আবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস- সেই জন্য দায়ী চিনি , এতদিন সেই কথা মনে করতেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তার সংজ্ঞা বদল হতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। যাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী নুন।
নিউ অরলিন্সের তুলান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা ব্রিটেনের বায়োব্য়াঙ্কের গবেষণা থেকে নেওয়া তথ্য বিচার আর বিশ্লেষণ করে এই তারা দাবি করেছে নুনের কারণে হচ্ছে ডায়াবেটিস। প্রায় ৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এই দাবি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। প্রায় ১২ বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ১৩০০০ জনকে দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত নুন খেয়ে থাকে। এরা সকলেই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
আক্রান্তগের খাবার সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখে বিজ্ঞানীদের দাবি ডায়াবেটিসের জন্য নুন আর প্যাকেটজাত খাবর অধিকাংশ সময় এই রোগের জন্য দায়ী। তাদের কথায় ব্রিটেনের মত দেশে সাধারণ মানুষ দিনে ৮ গ্রাম বা দুই চামচ লবণ খেয়ে থাকে। কিন্তু ব্রিটেনের প্রায় তিন চতুর্থাংশই প্রক্রিয়াজাত খাবার খায়। বাকি বেশিরভাগ রান্নার সময় যোগ করা হয়। তারা খালি খালি নুন খুব কম খায়। প্রেসরিলিজে গবেষক দলের প্রধান বলেছেন, কাঁচা নুন খাওয়া কমিয়ে দিলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা কিছুটা হলেও সহজ হবে। এই গবেষণাকে তাঁরা এখনও পর্যবেক্ষণ বলেই দাবি করেছেন।
তবে অন্য একদল গবেষক এই দাবি মানতে নারাজ। বিজ্ঞানী ড্য়ান গ্রিন বলেছেন, এই গবেষণা থেকে এটুকুই গ্রহণ করা যায় যে নুন বেশি খাওয়া ডায়াবেটিস রুগির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অন্যদিকে ব্রিটেনের স্থানীয়দের দিনে ৬ গ্রাম লবণ খাওয়ার পরামর্শ আগেই দেওয়া হয়েছে। এই দেশের মানুষ গত কয়েক বছর ধরেই নুন খাওয়ার পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছে। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে প্রতিদিন ২ গ্রাম রান্না করা নুন আর একগ্রাম কাচা নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
লবণ কমানো এখনও একটি ভাল ধারণা। আরও নিশ্চিত করে বলা যায় তা হল যে টাইপ 2 ডায়াবেটিস আছে এমন লোকেরা, যাদের প্রায়শই উচ্চ রক্তচাপ থাকে তারা কম লবণ গ্রহণ করলে তাদের রক্তচাপের উন্নতি হয়।এই গবেষণাটি দেখায়নি যে আমাদের লবণের পরিমাণ কতটা কমাতে হবে, এটি শুধুমাত্র খাবারে লবণ যোগ করা এবং ডি-এর ঝুঁকির মধ্যে একটি দুর্বল সংযোগের পরামর্শ দিয়েছে।