রাতের বেলার খাবারে ভাত কিংবা রুটি কোনওটাই নয়, তবে কি খাবেন,এটা নিয়ে বাড়ছে সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত ও রুটি দুটোতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের পক্ষে খারাপ।
বিশেষত বাঙালিদের সঙ্গে ভাত আর ঘুমের একটি বিশেষ যোগ রয়েছে। আবার অনেকেরই রুটি হলেই সবচেয়ে ভাল। দুপুর বেলা ভাত বা রুটি দুটোই খাওয়া যায় কিন্তু রাতের বেলায় কী খাবেন আর কী খাবেন না তা নিয়েই নাজেহাল। কারোর হয়তো তিন বেলাই ভাত চাই, ভাত না খেলে যেন ঘুম আসে না অনেকেরই। ভাত ও রুটির তর্জায় বিশেষজ্ঞদের মত কিন্তু পুরো আলাদা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন রাতের বেলা ভাত কিংবা রুটি কোনওটাই নয়, তবে কী খাবেন রাতের খাবারে, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত।
যারা ভাত খেতে ভালবাসেন তারা তিন বেলায় ভাত পেলে আর কিছু চান না।ভাত ও রুটির তর্জায় বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাতের বেলার খাবারে ভাত কিংবা রুটি কোনওটাই নয়, তবে কি খাবেন,এটা নিয়ে বাড়ছে সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত ও রুটি দুটোতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের পক্ষে খারাপ। এক প্লেট ভাতে ২৭২ ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্ধের পর থেকেই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই শরীরের জন্য ভাল।
এবার অনেকেই মনে করতে পারেন ভাতের তুলনায় রুটি খাওয়াই অনেক বেশি ভাল। কিন্তু ভাতের মতো রুটিতেই থাকে সমপরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ।সুতরাং কে কটা রুটি খাচ্ছেন তার উপরে ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ৪৫ থেকে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট প্রতিদিন খাওয়া উচিত। সুতরাং যারা মনে করছেন ভাত খাব না রুটি, তাদের আর এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। দুটোই খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। তবে খাওয়ার সময় পরিমানের দিকে নজর রাখবেন। সবচাইতে ভাল ভাত বা রুটির পরিবর্তে ডালিয়া, কিংবা ওটসও রাতের খাবারে খেতে পারেন। যারা ওটস বা ডালিয়া খেতে পারেন না তারা রাতে রুটি খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত রুটি খাওয়াও শরীরের জন্য ভাল নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গমে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্লুটেন থাকে যা অনেকেই সহ্য করতে পারে না,এবং সেখান থেকেই পেটের রোগ দেখা দেয়। গম থেকে তৈরি হওয়া নানা জিনিস যেমন, পাউরুটি, রুটি ইত্যাদি অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপের সমস্যা ও বৃদ্ধি পেতে পারে। গমের মধ্যে সাইটিক অ্যাসিড থাকে। যা শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদির মাত্রা কমিয়ে দেয়। গমের তৈরি জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে মস্তিষ্কের নানা রোগ ও দেখা যায়। তাই বেশি রুটি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে গমের তৈরি খাদ্য বেশি পরিমাণে খেলে ত্বকের বয়স বেড়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বক কুঁচকে যায় এবং বুড়িয়ে যায়।