চোখে ছানি পড়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই খাবারগুলি, আজ থেকেই ডায়েটে রাখুন, মিলবে বহু উপকার
দিনের বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপ, কম্পিউটারের সামনে কাজ করে কেটে যায় সময়। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে চোখে।
deblina dey | Published : Jun 26, 2024 7:04 AM IST
প্রতিদিনের এই কাজের চাপে আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান এই চোখের যত্ন নিতে ভুলে যাই। কাজ ছাড়াও ফোন, টিভি সব মিলিয়ে দিনের অধিকাংশ সময়টাই চোখের ওপর চাপ পড়ে সব থেকে বেশি।
যার ফলে কম বয়সেই আশ্রয় নিতে হয় চশমার। দিনের বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপ, কম্পিউটারের সামনে কাজ করে কেটে যায় সময়। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে চোখে।
এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আমাদের চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি এই খাবারগুলি আপনার ডায়েটে রাখেন তবে আপনি শুধু চোখের সমস্যা নয়। চোখে ছানি পড়ার মত থেকে সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সাইট্রাস ফুড। সাইট্রাস ফুড মানে সাইট্রাস জাতিয় যে কোনও ফলও চোখের জন্য উপকারী।
সাইট্রাস খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে এছাড়াও এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের চোখের পর্দা সুস্থ রাখে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি সিট্রাস জাতিয় খাদ্য খাওয়া উচিত।
ডিম-
ডিমের কুসুমও চোখের জন্য উপকারী। কটি বড় ডিমের মোট ওজনের ৬০ গ্রামের মধ্যে ১৭ গ্রাম কুসুম থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ২.৭ গ্রাম প্রোটিন ২১০ মিলিগ্রাম কলেস্টোরেল, ০.৬১ গ্রাম শর্করা, এবং ৪.৫১ গ্রাম চর্বি। যা শরীর ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
সবুজ শাক-সবজি-
ছোট থেকে আমরা শুনে আসছি সবুজ শাক-সবজি চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এই সবজি চোখকে ছানির মত সমস্যার হাত থেকে বাঁচায়। চোখের জন্য পালং শাক খুব উপকারী।
যাদের চোখে ছানির মত সমস্যা শুরু হয়েছে তারা যদি নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খান তবে ছানি হওয়ার সমস্যা অনেক কম যাবে।
ড্রাই ফ্রুটস-
এর সব মরসুমেই ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া উচিত। এগুলি স্বাস্থ্যকর এবং চোখ সুস্থ রাখার জন্য খুব উপকারী। আসলে, এতে উপস্থিত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি চোখ এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
অ্যান্টি-লেয়ার স্ক্রিন -
কয়েক ঘন্টা কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ব্যবহার চোখে মারাত্মক ক্ষতিকর করে। এর একটানা ব্যবহারের ফলে চোখ শুষ্ক এবং চোখের ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এই ক্ষেত্রে, আপনার অ্যান্টি-লেয়ার স্ক্রিনে কাজ করা উচিত। এতে আপনার চোখের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।
এছাড়া চোখ ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশলও রয়েছে। মাঝে মধ্যে চোখের পাতা ফেলা, একটানা কাজের মাঝে চোখ বন্ধ করে রাখা ইত্যাদি। তবে চোখের বিষয়ে বারতি কোনও সমস্যা দেখা দিলে পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি।